Kode Iklan atau kode lainnya

WBSSC: ইন সার্ভিস শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আলাদা করে SLP ফাইল করছে শিক্ষক সংগঠন

এসএসসি চাকরি বাতিল

এসএসসি চাকরি বাতিল: নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগে সোমবার ২০১৬ সালের নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্টের স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ। প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই রায়ের বিরূদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে এসএসসি, রাজ্য এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। একই সঙ্গে আবেদন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার শুনানির সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি-র মামলার দিন এগিয়ে ধার্য করা হয়েছে ২৯ এপ্রিল, সোমবার। এর আগে শীর্ষ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছিল, আগামী ৩ মে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা এগিয়ে এল।

দীর্ঘদিন চাকরি করছেন তাঁরা। কারোর চাকরি 20 বছর কারোর আরো বেশি। নিজে হাতে তৈরি করেছেন অনেক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার। এখন সেই ছাত্র ছাত্রীরা জানছে স্যারের চাকরি আর নেই। 

কেউ বদলির জন্য কেউ বা উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হওয়ার জন্য পুনরায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসে ২০১৬ এর প্যানেলভুক্ত  হয়ে নতুন স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন। ২২ এপ্রিলের একটা অর্ডারে তাঁদের সকলের চাকরি আর নেই।

এবার এই সমস্ত ইন সার্ভিস শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আলাদা করে SLP ফাইল করছে শিক্ষক সংগঠন "মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি(STEA)"।

আজ কলেজ স্কোয়ারের ত্রিপুরা হিতসাধিনী সভা হলে সারা রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারা জমায়েত করে ডকুমেন্ট জমা দিল STEA এর প্রতিনিধিদের কাছে। সই করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ওকালতনামা য়। প্রায় 4 শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আজ উপস্থিত হয়েছিলেন।

সমিতির নেতা (দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক) অনিমেষ হালদার বলেন, কোন আইনের বলে এই শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি গেল তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছেনা। আমরা সকল যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ফেরানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি। কিন্তু এই সমস্ত ইন সার্ভিস শিক্ষকদের জন্য আলাদা করে একটি SLP ফাইল করছে আমরা। আমরা মনে করি শুধুমাত্র এই বিষয়টির জন্য পুরো রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে ঘুরিয়ে অযোগ্যরা সুবিধা পেতে পারে। আমাদের সাথে যারা। নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৭ রকমের অনিয়ম হয়েছে তার কোনোটির সাথে যুক্ত থাকলে তার পাশে সমিতি থাকবে না এই মর্মে প্রত্যেকের কাছ থেকে সেল্ফ ডিক্লারেশন সাইন করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে একজন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীও আমাদের মামলায় দ্বারা কোন সুবিধা পাবে না। আগামীকালও দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কলেজ স্কোয়ারে এই ক্যাম্প চলবে।"  

গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল করেছে। এর ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে স্পেশ্যাল ডিভিশন বেঞ্চ। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় সোমবার ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পূর্ণ বেতন ফেরত দিতে হবে। বছরে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ ওই বেতন ফেরত দিতে হবে।

close