Kode Iklan atau kode lainnya

SSC: ত্রুটিমুক্ত তালিকা করতে এসএসসিকে নির্দেশ মমতার, দিনরাত এক করে ফেলছে কমিশন

শিক্ষক নিয়োগ
প্রতীকী চিত্র

নিউজ ডেস্ক: ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরি করত স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে এসএসসি।  এই মুহূর্তে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করাটাই প্রধান লক্ষ্যমাত্রা স্কুল সার্ভিস কমিশনের। যোগ্য ও অযোগ্য খুঁজতে বুধবার থেকে দিনরাত এক করে ফেলতে হচ্ছে এসএসসিকে। 

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কড়া নির্দেশ, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বিভাজন করতেই হবে এসএসসিকে। ১৬ জুলাই পরবর্তী শুনানি, ফলে হাতে অনেকটাই সময় রয়েছে। তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বারবার খতিয়ে দেখেই কাজটা করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে যা কিছু তথ্য পাওয়া যাবে তা উপযুক্ত অনুসন্ধান করেই কাজে লাগাতে হবে। 

মুখ্যমন্ত্রীর খনিষ্ঠ মহলের খবর, কাজ কতদূর এগোচ্ছে তার আপডেটও নিয়মিত জানতে চান তিনি। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, এই মূহুর্তে দলের ভোটপ্রচার নিয়ে চরম ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সপ্তাহের প্রায় সবদিনই প্রচারের কাজে তিনি কলকাতার বাইরে মফসসল জেলাগুলিতে যাচ্ছেন। তবে তার মাঝেই এই বিষয়ে নজর রয়েছে তাঁর। এই নিয়ে তিনি নিয়মিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দফায় দফায় আলোচনা করছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।

এসএসসি সূত্রের খবর, যোগ্য ১৯ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা ধরেই এগোচ্ছেন তাঁরা। পাঁচ হাজারের কিছু বেশি অযোগ্যর তালিকার কথা আগেই এসএসসি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জানিয়েছিল। ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্যের ওপর বেসরকারি সংস্থা কাছ থেকে পাওয়া একটি হার্ডডিস্কও রয়েছে এসএসসি'র কাছে। কিছু সংখ্যাতত্ত্বের ওপর তথ্য রয়েছে। সব মিলিয়ে একেবারে ম্যারাথন গতিতে গতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে এসএসসি-তে।

এসএসসি'র জনৈক শীর্ষ আধিকারিক জানান, 'প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীর কথা তো আমরা সর্বোচ্চ আদালতে জানিয়েছি। অযোগ্যদের তালিকা আছে বলেছি। এখন তা চূড়ান্ত করার পথে এগোচ্ছি। ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানিতে আমরা ত্রুটিমুক্ত যোগ্য-অযোগ্যদের প্রার্থী তালিকা পেশ করব। এই নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে সে বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক আমরা।'

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরূদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। দেশের সর্বোচ্চ আদলত চাকরি বাতিলে আপাত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আপাতত স্থগিতাদেশ দিলেও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, ‘‘কলকাতা হাই কোর্টের রায় সম্পূর্ণ ঠিক এবং সন্দেহাতীত। চাকরি খারিজের যে সিদ্ধান্ত হাই কোর্ট নিয়েছিল, তা বৈধ। যে দুর্নীতি হয়েছে, তা যে ভবিষ্যতে আর হবে না, তা কে বলবে? এ ব্যাপারে রাজ্য বা এসএসসি কেউই এমন পর্যায়ে নেই যে, এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে তো কোনও ভুল নেই। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হাই কোর্ট যা রায় দিয়েছে তা যথার্থ।’’ আদলত একই সঙ্গে যোগ্য ও অযোগদের আলাদা করার কথাও বলেছে। এখন এসএসসি এই তালিকা প্রস্তুত করতেই জোর কদমে কাজে লেগে পড়েছে।

close