Kode Iklan atau kode lainnya

শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় রাজ্য সরকারের! মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু

সুপ্রিম কোর্টের রায়, ব্রাত্য বসু: ফের সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেল রাজ্য সরকার। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ বৈধ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চ জানিয়ে দিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিধান্ত ঠিক ছিল। আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফাঁকা পড়ে থাকা পদে ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে কোনও ভুল করেনি রাজ্য। 

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই নিয়ে টুইট করেছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, আদতে সত্যের জয় হল। সুপ্রিম কোর্ট ফের একবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্যের স্ট্যান্ড পয়েন্টের সঙ্গে দাঁড়াল। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চের নিদের্শ খারিজ হয়ে গেল। সত্য আরও একবার মিথ্যাকে হারিয়ে দিল। প্রমাণ হল নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না।

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরু হয় ২০২০ সালে। প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ ছিল ১৬ হাজার ৫০০। যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ১২ হাজার ৫৭১ জন। নিয়োগের পর ৩ হাজার ৯২৯টি পদ খালিই পড়েছিল। ২০১৭ সালে ফের টেট আয়োজিত হয়। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদ শুরু করে ২০২২ সালে। সেসময় রাজ্য ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সংখ্যার মধ্যে আগের ফাঁকা পড়ে থাকা ৩ হাজার ৯২৯টি পদও অন্তর্ভুক্ত করে পর্ষদ।

সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ফাঁকা পড়ে থাকা ওই ৩ হাজার ৯২৯টি পদে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদেরই নিতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চও একই রায় দেয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী সাদেক বিশ্বাস সহ কয়েকজন। অন্যদিকে, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী আলি হোসেন সহ কয়েকজনও পাল্টা মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার শুনানিতে পর্ষদের পক্ষে আ‌‌ইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত এবং কুণাল চট্টোপাধ্যায়রা সওয়াল করেন, নিয়োগবিধি মোতাবেক একটি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তা থেকে কাউকে নিয়োগ করা যায় না। তাই পরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আগের ফাঁকা পড়ে থাকা পদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আইনজীবীরা। সাড়ে চার ঘণ্টা শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, পর্ষদের সিদ্ধান্ত বৈধ। ওই শূন্যপদগুলিতে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওই ৩৯২৯টি শূন্যপদ যোগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ হবে।

close