শিক্ষকদের চাকরি বাতিল: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ২৬ হাজার জনের। ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গের মতো টাকার বিনিময়ে শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার ঘটনা দেশের অনেক রাজ্যেই ঘটেছে। তারমধ্যে সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনা ঘটেছিল হরিয়ানায়। সেখানে শিক্ষক দুর্নীতির মামলায় জেল হয় মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার। তাঁর বিরুদ্ধেই শিক্ষকদের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নিয়োগ দুর্নীতির সেই মামলায় দশ বছর জেল খেটেছে জামিনে মুক্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চৌতলা ও তাঁর পুত্র।
টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের বরখাস্ত করার রায় দেয় পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালত নিয়ম ভেঙ্গে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ফেরত দিতে বলে। এর পর মামলা গড়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের পর চাকরি রক্ষা হয় বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের। শীর্ষ আদালত প্রথমে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। পরে শীর্ষ আদালতে শিক্ষকদের তরফে বলা হয় তাঁরা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন হাইকোর্ট তোলেনি। ফলে তাঁদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।