Kode Iklan atau kode lainnya

অন্যায্য সুযোগ দিতেই কি ইন্টারভিউয়ে নম্বর বৃদ্ধি? সহকারী অধ্যাপক নিয়ে বিরাট প্রশ্নের মুখে WBCSC

কলেজে অধ্যাপনার জন্য সেট (SET) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, অনলাইনে আবেদন করুন

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের কলেজগুলোতে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ চলছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু বিষয়ের ফল প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। তবে এই ফল প্রকাশ হতেই বিতর্ক সামনে এসেছে। একাধিক অসচ্ছতার অভিযোগ সামনে আনছেন চাকরি প্রার্থীরা। এবারও স্কোর প্যাটার্ন প্রকাশ করেনি কমিশন।

তবে কি অন্যায্য সুযোগ দিতেই স্কোর প্যাটার্ন নিয়ে চুপ থাকছে WBCSC? প্রশ্নের মুখে সিএসসি।

প্রফেসর নিয়োগের একের পর এক প্যানেল বেরোলেও এখনও অজানা নিয়োগের স্কোর প্যাটার্ন। পাশাপাশি মেধাতালিকায় প্রাপ্ত নম্বরও প্রকাশ হয়নি। এ নিয়ে কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এই নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ ও দিয়েছেন। 

চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষাগত যোগ্যতার নানা স্তরে (পিএইচডি/এমফিল, মাস্টার্স, গ্র্যাজুয়েশন এবং উচ্চমাধ্যমিক) প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের উপরে ওয়েটেজ কমিয়ে বাড়ানো হয়েছে ইন্টারভিউয়ের নম্বর। আর এখানেই অস্বচ্ছতার ইঙ্গিত পাচ্ছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সিএসসি’র ইন্টারভিউয়ে বরাদ্দ ছিল ২০ নম্বর। ২০১৫-এ তা বেড়ে হয় ২৫। তবে বাড়তি পাঁচ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছিল ইন্টারভিউয়ের সঙ্গে থাকা টিচিং ডেমনস্ট্রেশনে। আবার ২০১৮ সালে এই ২৫ বেড়ে হয় ৪০। 

এ বারও ইন্টারভিউ পারফরম্যান্সে ২০ নম্বর রেখে প্রার্থীদের ডোমেন নলেজ এবং টিচিং স্কিলে ১০ করে ২০ নম্বর বরাদ্দ হয়েছিল। অর্থাৎ ইন্টার্ভিউয়ারদের হাতে সেই ৪০ নম্বরই থাকছে।

ইন্টারভিউয়ে নম্বরের ভার ক্রমাগত বাড়ানো নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এর মাধ্যমেই আসলে স্বজনপোষণের কারসাজি। শিক্ষাগত যোগ্যতায় পিছিয়ে থাকলেও ইন্টারভিউয়ের সঙ্গে ডোমেন নলেজ ও টিচিং স্কিল মিলিয়ে বরাদ্দ ৪০ নম্বরের সিংহভাগ তাঁদের পাইয়ে প্যানেলে নাম তোলা হয়েছে, অন্যদিকে প্রকৃত যোগ্যদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের। মেধাতালিকায় থাকা প্রার্থীদের নম্বরও প্রকাশ করেনি কমিশন। কিন্তু কেন এই লুকোচুরি? উঠছে প্রশ্ন।

close