Kode Iklan atau kode lainnya

হাড়হিম ঘটনা: ২ ছেলের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক, মায়ের মুণ্ডু-হাতের আঙুল কেটে নিয়ে খুন! সঙ্গ দিল বাবা

ছেলের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্কের কথা

নিউজ ডেস্ক: এবার এক চরম ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল। ২ ছেলের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্কের কথা জানতে পেরে কেটে নিল মায়ের মুণ্ডু-হাতের আঙুল! হাড়হিম ঘটনা যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশে।  একদম শেষ প্রান্তে পড়েছিল এক মহিলার মুণ্ডুহীন অর্ধনগ্ন দেহ। হাতের আঙুলও ছিল না। শরীরটা যেখানে ছিল, তার কিছুটা দূরেই রাখা ছিল কাটা মুণ্ডুখানি।  পুলিশি তদন্ত করতেই ঘটনার পর্দাফাঁস হয়।

ছেলেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মায়ের। দুই ছেলের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক মায়ের। শেষে বাবা ও ছেলেরা মিলে খুন করল মা-কে। কেটে নিল মুণ্ডু। কেটে নিল হাতের আঙুল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার চামরাহা গ্রামে।

জানা যায়, মৃতার নাম মায়া দেবী। গ্রামের একদম শেষ প্রান্তে পড়েছিল এক মহিলার মুণ্ডুহীন অর্ধনগ্ন দেহ। হাতের আঙুলও ছিল না। শরীরটা যেখানে ছিল, তার কিছুটা দূরেই রাখা ছিল কাটা মুণ্ডুখানি। খবর পেয়ে পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে। শুরু হয় পুলিসের তদন্ত। শেষে ওই মৃতার পরিচয় জানা যায়। ওই মহিলার বাড়িতে পৌঁছয় পুলিস। কিন্তু স্বামী ও ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বয়ানে মেলে অসঙ্গতি। ৩ জন ৩ রকম কথা বলতে থাকে। শেষে আরও জিজ্ঞাসাবাদে চাপের মুখে সত্যিটা স্বীকার নেয় বাবা ও ছেলে।

পুলিশি জেরায় বাবা ও তারা ২ ভাই স্বীকার করে যে তারাই মিলে খুন করেছে মাকে। মূল অভিযুক্ত রামকুমার জানায় যে, মায়া দেবী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। সম্প্রতি সে জানতে পারে যে, এক সৎ ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে স্ত্রী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি হয়। এর কিছুদিন পর সে আরও জানতে পারে যে, আরেক সৎ ছেলের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে সে।

এরপরই বাবা ও দুই ছেলে, প্রকাশ ও ব্রিজেশ মিলে খুনের পরিকল্পনা করে। তাদের এই পরিকল্পনায় মদত দেয় রামকুমারের ভাইপো  উদয়ভান। পরিকল্পনামাফিক তারা ওই মহিলাকে একটি গাড়ি করে চামরাহা গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে গলা টিপে খুন করা হয় ওই মহিলাকে। এরপর কুঠার দিয়ে ওই মহিলার মুণ্ডু, দেহ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। হাতের চারটে আঙুলও কেটে নেওয়া হয়। 

close