Kode Iklan atau kode lainnya

SSC: মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে হাত কামড়াচ্ছেন PhD করা দিব্যেন্দু, শুনতে হচ্ছে চোর অপবাদ! শুধুই আফসোস

 দিব্যেন্দু মন্ডল

নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসছে। সম্প্রতি OMR শিট নিয়ে কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ৯০৭ জন কর্মরত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন শুধুমাত্র ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ করেছে। সেই তালিকা সামনে আসতেই অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ। 

ওই তালিকায় নাম আছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিব্যেন্দু মন্ডলের। যিনি গুজরাটের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে রাজ্যে শিক্ষকতার পেশা বেছে নিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছেন।  ভিন রাজ্যের লোভনীয় চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতার পেশা বেছে নেওয়াই কাল হল মেধাবী যুবকের। একটি বহুজাতিক সংস্থায় গুজরাতে চাকরি করতেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি দিব্যেন্দু মণ্ডল। SSC-র শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তিনি আবেদন করেন।

এসএসসির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতার মুরারিপুকুর উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে পড়ানো শুরু করেন। সন্দেহজনক যে ৯০৭ জন শিক্ষকের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) প্রকাশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে দিব্যেন্দুর। তালিকা দেখার পর তাঁর আফশোস, 'নিজের রাজ্যে থাকতে পারব ভেবে বেশি বেতনের চাকরি ছাড়াটা ভুল হয়েছিল। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।” 

এসএসসির প্রকাশিত তালিকায় ২১৩ নম্বরে রয়েছে দিব্যেন্দুর নাম। তিনি ২০০৯ সালে নেট এবং গেট দু'টি পরীক্ষাতেই পাশ করেছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন ২০১৫ সালে। ওই বছরই একটি কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি পান। পোস্টিং ছিল গুজরাতে। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা দিব্যেন্দু। 

পরীক্ষায় পাশের পর ইন্টারভিউ হয়। চূড়ান্ত প্যানেলে নাম থাকার পর কিছুটা দ্বিধা নিয়েই নিজের শিক্ষকতার চাকরি বেছে নেন। তাঁর কথায়, ‘একদিকে লোভনীয় কর্পোরেট চাকরি, অন্যদিকে নিজের বাড়ির কাছে থাকার হাতছানি। এই দু'টোর মধ্যে শেষমেশ শিক্ষকতাই বেছে নিয়েছিলাম। চাইলে পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য স্কলারশীপ পেয়ে বিদেশেও যেতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। এখন চোর চোর শুনতে হচ্ছে। 

SSC-র এই তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘কে দোষী বা নির্দোষ, তা ঠিক করবে আদালত। সিবিআই যে হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা থেকে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। তাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এই তালিকা প্রকাশ করেছি।'

close