Kode Iklan atau kode lainnya

SSC-র নিয়োগে চরম দুর্নীতি, ১৮ থেকে ১০০ শতাংশ দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগেও বিস্ফোরক তথ্য সিবিআই-র

 শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। কীভাবে এই দুর্নীতির প্রক্রিয়া চলত তা অনেকটাই প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে সিবিআই। অযোগ্যদের চাকরি দিতে বিভিন্ন ভাবে জালিয়াতি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে। ওএমআর জালিয়াতি করে যেমন নিয়োগ করা হয়েছে, তেমনই তালিকায় না থেকেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে।

মূলত চারটি প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করা হয়েছে। ওএমআর জালিয়াতি করে যেমন নিয়োগ করা হয়েছে, তেমনই তালিকায় না থেকেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে। আবার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্যানেল থেকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আগের ব়্যাঙ্কের প্রার্থীকে চাকরি না দিয়ে ব়্যাঙ্কের পিছনে থাকা প্রার্থী পেয়েছেন। 

প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চরম নিয়োগ দুর্নীতি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। এরই মধ্যে এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এল। SSC-র গ্রুপ সি নিয়োগে প্রায় ১০০ শতাংশই দুর্নীতি করা হয়েছে। CBI সূত্রে এমনই খবর মিলছে। 

রাজ্যে যেন নিয়োগ দুর্নীতির গোলকধাঁধায় জড়িয়ে পড়েছে।  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে OMR জালিয়াতি থেকে প্যানেল বিভ্রাট, ছত্রে ছত্রে দুর্নীতির চিত্রনাট্য সামনে আসছে। শিক্ষক নিয়োগে হাজার কোটির দুর্নীতি? তেমনই তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। নবম-দশম থেকে একাদশ-দ্বাদশ হোক বা গ্ৰুপ-সি নিয়োগ, প্যানেল থেকে OMR ― সবেতেই হয়েছে দুর্নীতি! এমনটাই অভিযোগ করছেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাংশ।

SSC গ্রুপ সি: গ্রুপ সি-তে মোট নিয়োগ হয়েছে ২ হাজার ৩৭ জনের। OMR গন্ডগোল ৩ হাজার ৪৮১ জনের। কোনও তালিকায় না থেকে নিয়োগ ১ হাজার ৭১৫ জনের। এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে নিয়োগ হয়েছে ৩৮১ জনের।  

SSC গ্রুপ ডি: গ্রুপ ডি-তে মোট নিয়োগ হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৭ জনের। OMR গন্ডগোল ২ হাজার ৮২৩ জনের। কোনও তালিকায় না থেকে নিয়োগ ১৪১ জনের। এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে নিয়োগ হয়েছে ৬০৭ জনের।  

SSC নবম-দশম: নবম-দশম  মোট নিয়োগ হয়েছে ১১ হাজার ৪২৫ জনের। OMR গন্ডগোল ৯৫২জনের। কোনও তালিকায় না থেকে নিয়োগ ৫২জনের। এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে নিয়োগ হয়েছে ১৮৩ জনের।  

SSC একাদশ-দ্বাদশ: একাদশ-দ্বাদশ মোট নিয়োগ হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ জনের। OMR গন্ডগোল ৯০৭ জনের। তালিকায় না থেকেও নিয়োগ পেয়েছেন ৭৮ জন। এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া প্যানেল থেকে নিয়োগ হয়েছে ৩৯ জনের।  

অর্থাৎ প্রতিটি স্তরেই যে চরম দুর্নীতি হয়েছে তা বলাই যায়। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ, এই দুই ক্ষেত্রে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকের ১৮ শতাংশই জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন। গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি শিক্ষাকর্মী নিয়োগে কোনও ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ, কোনও ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ জালিয়াতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। 

close