নিউজ ডেস্ক: এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারক। একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগ মামলাতে সিবিআই তদন্তে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। তদন্ত করতে আর কতদিন লাগবে? একই অভিযোগ আর কতদিন টানবেন? সিবিআইকে প্রশ্ন করল আদালত।
বুধবার শুনানি চলাকালে বিচারক বলেন, ওই একই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত আর কতদিন টেনে নিয়ে যাবেন? এই মামলায় ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়ি থেকে এদিনও উদ্ধার হওয়া টাকা ও গয়নার প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশেও লেখেন, কেস ডায়েরিতে তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ক নতুন কিছুই নেই। এদিন একাদশ-দ্বাদশে শান্তিপ্রসাদ এবং আব্দুল খালেক হাজিরা দেন। অন্যদিকে, এদিনই গ্রুপ ডি মামলায় প্রসন্ন রায় ও সুব্রত সামন্ত রায়কে আদালতে তোলা হয়। সকল অভিযুক্তকেই ১২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশমের পর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে! একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় OMR সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নজিরবিহীন সব তথ্য সামনে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। SSC-র গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ৩,৪৭৮ জনের নামের তালিকা করা হয়। ৩,১৭৮ OMR Sheet প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭৭৫ জন প্রার্থীকে জারি করা চাকরির সুপারিশ বাতিল করেছে। গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ প্রাপ্ত ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে আগেই। যদিও এই সব চাকরি বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে।