নিউজ ডেস্ক: NCTE নিয়মে ৮২ পেলেই CTET পাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে আবেদন করেন কিছু চাকরি প্রার্থী। গত বছর ৩ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নিয়ে উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছিল। ২০১৭ ও ২০১৪ সালের টেট মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের ক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের উত্তীর্ণ হওয়ার স্বীকৃতি দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে NCTE-এর নিয়ম উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
জানা গেছে, জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার প্রার্থী ইতিমধ্যে ৮২ পেয়ে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়েছে। যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কিছু প্রার্থী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৮২ নম্বর পেলে পাশ করানো যাবে না। ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা গৃহীত হয়েছিল। বুধবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। তাতেই নজিরবিহীন মতভেদ দেখা গেল দুই বিচারপতির মধ্যে। জানা যাচ্ছে, ৮২ পেলেই পাশ TET, মত দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। অন্যদিকে, ৮২.৫ বা তার বেশি পেলে TET পাশ বলে মত দেন বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্য। এই মতভেদ হওয়ায় মামলা গেলো তৃতীয় বিচারপতি বেঞ্চে। সেক্ষেত্রে তৃতীয় বিচারপতি বেঞ্চ নির্দিষ্ট করবেন প্রধান বিচারপতি।
২০১৪ সালের বাকি থাকা এবং ২০১৭ সালে TET পাশ করা পরীক্ষার্থীরা ২০২২-এর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতেও অংশ নেন। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে TET পাশের মাপকাঠি যদি বদল হয় সেক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থীর উপর প্রভাব পড়তে পারে। তবে NCTE-র নিয়ম অনুযায়ী ৮২ নম্বর পেলেই সংরক্ষিত প্রার্থীদের টেট পাশ হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। এখন দেখার মামলাটি কতদূর গড়ায়।