Kode Iklan atau kode lainnya

Big Breaking: নজিরবিহীন নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, ৬৮ নম্বর পেয়েই টেট পাশ মহুয়া খাতুন

 অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক: এবার নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী টেট ফেল করেছেন ওই চাকরি প্রার্থী, যদিও আসল OMR সামনে আনতে পারেননি পর্ষদ।  এর পরেই টেটে কম পেয়েও পাস ঘোষণা করা হল! বিরাট নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেনিফিট অফ ডাউটে খারিজ করে দিলেন তিনি। 

টেটে মাত্র ৬৮ নম্বর পেয়েছেন, সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৮৩ পেলে পাস নম্বর হয়। যদিও নজিরবিহীন ভাবে ৬৮ প্রাপককেই পাস ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের। বেনিফিট অফ ডাউটে খারিজ প্রাথমিক বোর্ডের যুক্তি। ৬৮ পেলেও মহুয়া খাতুনকে চাকরি দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির। এমনই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মামলাকারী বাদুড়িয়ার মহুয়া খাতুন। আসল OMR নষ্টের দায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের, এমনই মনে করছেন বিচারপতি। পর্ষদের  ডিজিটাইজড OMR তথ্যের ব্যাখা সন্দেহজনক বলেও মত কোর্টের।

এরপরেই ওই চাকরি প্রার্থীর ২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও পর্ষদ দাবি করে এর আগে ২৫০ জনের চাকরির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তবে, প্রতি ক্ষেত্রেই সিচাকরি প্রাপকরা টেট পাশ করেছেন, কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা দেয়নি। যদিও হাইকোর্ট মনে করছে আসল OMR দেখতে না পারাটা পর্ষদের বিপক্ষে যাচ্ছে। 

মহুয়ার আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী আদালতের কাছে জানতে চান, এক বার পাশ করেছেন জানিয়ে দেওয়ার পর আবার নম্বর বদলে যাচ্ছে ডিজিটাইজড ওএমআর শিটে। এই নম্বর কেন মানবেন তাঁর মক্কেল?

পর্ষদ দাবি করে ওই প্রার্থী টেট পরীক্ষায় ৬২ নম্বর পেয়েছিলেন, পরে প্রশ্নভুলের জন্য আরও ৬ নম্বর, অর্থাৎ ৬৮ নম্বর পেয়েছেন। যদিও আদালত বলে যদি এটাই হয় তাহলে ওই প্রার্থীকে কেন ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল? ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডাকছে, আবারও পর্ষদ বলছে পাশ করেনি, এটা সন্দেহজনক। এরপরেই তিনি পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, এবং নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন।

close