Kode Iklan atau kode lainnya

অনেক চাকরি রেডি করে রেখেছিলাম, কখনও দু’হাজার লোকের চাকরি ছাঁটাই, কখনও পাঁচ হাজার! ক্ষুব্ধ মমতা

 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে ফের মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও দু’হাজার লোকের চাকরি ছাঁটাই, কখনও পাঁচ হাজার! কখনও, দু’ঘন্টায় টাকা ফেরত! ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’দিনের ধর্না কর্মসূচির শেষদিন, বৃহস্পতিবার ফের তাঁর গলায় উঠে এল চাকরি ছাঁটাই এবং টাকা ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ।

মুখ্যমন্ত্রীর একরকম ইঙ্গিত দিলেন যে রাজ্য সরকার যাতে চাকরি দিতে না পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্না শেষ করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক চাকরি রেডি করে রেখেছিলাম। সেটা হচ্ছে কই? দু’ঘণ্টায় চাকরি ছাঁটাই! আমরা যাতে চাকরি দিতে না পারি। কখনও বলছে দু’হাজার লোকের চাকরি ছাঁটাই। কখনও বলছে পাঁচ হাজারের। কখনও বলছে দু’ঘণ্টার মধ্যে সিবিআই অফিসে যাও! দু’ঘণ্টার মধ্যে টাকা ফেরত দাও!’’ 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নজিরবিহীন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরি হারাচ্ছেন অযোগ্যরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায়ে মে মাসে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে দিয়ে চাকরি বাতিল শুরু হয়। এরপর থেকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে একের পর এক শুনানিতে শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক, তেমনই আছেন নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীও।

প্রাথমিক শিক্ষক, তেমনই নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। সব মিলিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে এ পর্যন্ত চাকরি খোয়ালেন মোট ৪,৭৮৪ জন। ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে এসএসসির গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ জন কর্মীর চাকরি যায়। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাঁদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের নির্দেশও দেন বিচারপতি।

গ্রুপ ডির পরে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে চাকরি যায় ৬১৮ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের। পরে আরও ১৫৭ জন শিক্ষক চাকরি হারান। 

নবম-দশমের অযোগ্য শিক্ষকের পরে  গত ১০ মার্চ, শুক্রবার গ্রুপ সি’তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, এরা আর স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে কি না সেই বিষয়ে আদালত পরে সিদ্ধান্ত নেবে।


close