নিউজ ডেস্ক: তবে কী এবার টেটের পর ফের টেট? এমনি খবর সামনে আসছে। এতদিন প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে টেট উত্তীর্ণ হলেই মেলে ইন্টারভিউয়ের সুযোগ। তবে এবার এটির পরিবর্তনের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। টেটে পাশ করেছেন লক্ষাধিক প্রার্থী। এত চাকরি প্রার্থীর ইন্টারভিউ নিতে অনেক সময় লাগে। ফলে এবার টেট-এর পর অন্য একটি পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী তালিকা আরও সংক্ষিপ্ত করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে শিক্ষাদপ্তরের অন্দরে। কর্তাদের প্রাথমিক আলোচনায় সেটিরই নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপারটেট’।
কিন্তু কেন ‘সুপারটেট’ নেওয়ার দরকার পড়ছে? হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে প্রাথমিক টেট ২০২২-এ মোট দেড় লক্ষ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই মুহূর্তে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউ চলছে। আবেদনকারী ছিলেন ৪০ হাজারের আশপাশে। শিক্ষক নিয়োগ করা হবে ১১ হাজার। শিক্ষক নিয়োগের পর বাকি থাকবেন ৩০ হাজার প্রার্থী। তার সঙ্গে যোগ হবে টেট ২০২২ উত্তীর্ণ আরও দেড় লক্ষ। অর্থাৎ, পরবর্তী নিয়োগে ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০২২ টেট মিলিয়ে ১ লক্ষ ৮০ হাজার প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়া প্রয়োজন। যা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে শিক্ষা দফতর। ফলে শিক্ষক নিয়োগ হতে হতে সব মিলিয়ে দু’বছর পেরিয়ে যেতে পারে।
এই অবস্থায় সুপার টেট নেওয়ার চিন্তা ভাবনা সামনে আসছে। যদিও বিষয়টি আপাতত আলোচনা স্তরে রয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্যেও এমন পরীক্ষার নজির রয়েছে। দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতেই প্রয়োজন হচ্ছে ‘সুপারটেট’-এর। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রার্থী তালিকা সংক্ষিপ্ত করে ইন্টারভিউ এবং নিয়োগ দেওয়া হবে। যদিও এটি এখন আলোচনার স্তরে রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও কিছু জানানো হয়নি।