Kode Iklan atau kode lainnya

‘এর থেকে আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়, কিন্তু..’ বিরাট মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের কাজ কর্মে ফের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘এর থেকে তো আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি’, মানিকের রিপোর্ট দেখে CBI-কে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতির। 

প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়েও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি। নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস মানিক ভট্টাচার্যের আছে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন তিনি।

‘২০১৪-র প্রাথমিকের টেটের ওএমআর সরবরাহের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়নি। টেন্ডার ছাড়াই বরাত দেওয়া হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছেন মানিক', কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করে সিবিআই। কিন্তু 'এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ? এর চেয়ে আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করব', বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি বলেন, ‘এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? এর থেকে তো আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি। হাইকোর্টের অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো? এটা কোন জিজ্ঞাসাবাদ? ছিঃ ছিঃ ছিঃ। এত ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে এবং আদালতের কাছে এত তথ্য প্রমাণ আছে, যার ভিত্তিতে ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সেটা করলে বৈধভাবে চাকরি পাওয়া বহু ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। একজন বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমার ভাল লাগবে না। এখনও এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কিছু দালাল বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। টেন্ডার ছাড়া কীভাবে একটি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে? এটা কী হচ্ছে?’

এরপর মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে বিচারপতি বলেন, ‘দুর্নীতির সমুদ্রে আপনারা সাহায্য করার পরেও আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। সিবিআই তো কিছুই করছে না। তারা তো জানেও না পিছনের দরজা দিয়ে কোন কাজ হয়েছে। এই সরকারের শিক্ষা দফতর কী করে এই দুর্নীতি দেখেও তাদের চোখ বন্ধ করে রাখল, সেটা ভেবে আমি বিস্মিত। শিক্ষা দফতরের কেউ কেউ হয়ত হাতে হাত রেখে এই দুর্নীতি করেছিলেন।’

close