Kode Iklan atau kode lainnya

তবে কি চাকরি যাবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের? প্রাথমিকের ৪৩ হাজার শিক্ষকেরই চাকরি নিয়েই উঠল প্রশ্ন

এসএসসি গ্রুপ সি

নিউজ ডেস্ক: তবে কি চাকরি যাবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের? প্রাথমিকের ৪৩ হাজার শিক্ষকেরই চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিকে ২০১৬-১৭ সালে ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ হয়। সেই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, আদালতের কাছে এত তথ্যপ্রমাণ আছে, যার ভিত্তিতে ২০১৪-র টেট-উত্তীর্ণদের ২০১৬-য় নিয়োগের গোটা প্রক্রিয়াই খারিজ করে দেওয়া যায়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ ও তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে। কেন ২০১৬-১৭'র শিক্ষক নিয়োগে অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হলো না, সেই মর্মে দায়ের মামলাতেই এই পর্যবেক্ষণ আদালতের।

তবে এই নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। টানা তিনদিন, ৪-৬ এপ্রিল মামলায় সব পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে বিচারপতির বলেন, 'নিয়োগে অবশ্যই কিছু যোগ্য প্রার্থী আছেন। তাই সমস্যা হচ্ছে, সব নিয়োগ খারিজ করলে বৈধ ভাবে চাকরি পাওয়া কিছু ব্যক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এক জনও বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আদালতের তা ভালো লাগবে না।'

বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পাল্টা এই বলে প্রশ্ন তোলেন যে, ন্যায্যদের চিহ্নিত করা যাবে কী করে? OMR শিট তো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদি প্যানেল বাতিল করা হয়, তবে ন্যায্যদের বক্তব্য আলাদা ভাবে শুনতে পারে আদালত।  স্বচ্ছ নিয়োগের প্রমাণ নিয়ে তাঁরা আদালতে আসতেই পারেন।

এরপর বিচারপতি বলেন, 'সব ওএমআর শিটই তো নষ্ট করা হয়েছে। কেউ আসতে চাইলেও উপায় কই! অন্য কিছু পদ্ধতি বার করার কথা ভাবছি। আমি তাঁদের কথা ভাবছি, যে পরিবারে এক জনের আয়ে সংসার চলে।'

close