Kode Iklan atau kode lainnya

মেধাতালিকায় ৩৩ নম্বরে থেকে চাকরি হয়নি অথচ ৫৩ নম্বরে থেকে চাকরি, শিক্ষিকার চাকরি বাতিল

শিক্ষিকার চাকরি বাতিল

নিউজ ডেস্ক: ফের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে এক শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ভালো র্যাঙ্ক করেও চাকরি হয়নি, অথচ মেধাতালিকায় পরে থাকা প্রার্থীকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়েই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। 

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধা তালিকার ওয়েটিং লিস্টে উপরের দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি—এই অভিযোগে  মামলা করেন প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দার নামে এক মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, তালিকায় ৩৩ নম্বরে নাম থাকা সত্ত্বেও ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষ নামে এক প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এরপরই সরমা ঘোষকে মামলায় পক্ষভুক্ত করেন বিচারপতি বসু। 

মামলাকারী আরও দাবি করেছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন সরমা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই সময় আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন সরমাও। তার পরেই তিনি চাকরির সুপারিশপত্র পান। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে নেন সরমা। 

এরপর এদিন বিচারপতি কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই শিক্ষিকার চাকরির সুপারিশ বাতিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, এমন ঘটনা আরও ঘটেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সেইসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, ‘চাকরি কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি! আন্দোলন করলেই কি চাকরি পাওয়া যায়!’ ১৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

close