Kode Iklan atau kode lainnya

তীব্র ছাত্র সংকটে রাজ্যের ৮২০৭টি স্কুলে! বন্ধ হয়ে গেলে ২৮ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা উদ্ধৃত হবেন

প্রতীকী চিত

নিউজ ডেস্ক: কানাঘুষা চলছিল! আর সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শিক্ষা দপ্তরের তালিকা। খোদ শিক্ষা দপ্তরের তৈরি তালিকাই বলছে, রাজ্যে ৮২০৭টি এমন সরকার পোষিত স্কুল রয়েছে যেখানে ছাত্র সংখ্যা ৩০-এর কম! মূলত প্রি-প্রাইমারি, অর্থাৎ একেবার শিশু শ্রেণি থেকে আপার প্রাইমারি, অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এ সব স্কুলে। শহর-শহরতলি বা জেলা সদরে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির দাপটে ধুঁকছে সরকারি ও সরকার পোষিত অনেক স্কুল। 

কলকাতায় এমন পাঁচশোর বেশি স্কুল রয়েছে, যেখানে ছাত্র সংখ্যা ৩০-এর নীচে। এর মধ্যে একশোর বেশি স্কুলে আবার ছাত্রসংখ্যা শূন্য থেকে মাত্র ২ বা ৩-র মধ্যে। সম্প্রতি রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোথায় কত ছাত্র এবং শিক্ষক রয়েছে, তার তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্কুলশিক্ষা দপ্তর। তাতেই এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে।

শুধু পড়ুয়া কম তা নয়, এই স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যাও হাতেগোনা। বেশিরভাগ স্কুলে দু'-তিনজন, বড়জোর চার জন করে স্থায়ী শিক্ষক রয়েছেন। সিংহভাগ স্কুলেই অশিক্ষক কর্মী নেই।  আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর থেকে বীরভূম, পুরুলিয়ার মতো তথাকথিত প্রান্তিক এলাকায় শয়ে-শয়ে এমন স্কুল রয়েছে যেখানে ছাত্র সংখ্যা ৩০-এর কম।

বহু স্কুলে পড়ুয়া আছে তো শিক্ষক নেই। আবার অনেক স্কুলে শিক্ষক আছে তো পড়ুয়া নেই। এখন যে সমস্ত স্কুলে পড়ুয়া খুব কম সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর ফলে শিক্ষক নিয়োগ যে কমবে তা বলাই যায়। জানা যাচ্ছে এই স্কুলগুলো বন্ধ হলে ২৮ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা উদ্ধৃত হবেন। আবার যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি, কিন্তু শিক্ষকের অভাব রয়েছে, সেগুলিতে ওই শিক্ষকদের বদলি করারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।  যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এই স্কুলগুলি নিয়ে পরিকল্পনা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত কিছু হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। 

close