নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার চন্দন মন্ডল। এবার সামনে এলেন চন্দন মণ্ডলের জামাই জয়ন্ত দাস। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতিতে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত প্যরিচরণ সরকার প্রাইমারি স্কুলের দু'বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডলের জামাই জয়ন্ত দাস।
চন্দন মন্ডলের গ্রেফতারের পর জয়ন্তকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি কী সৎ ভাবে চাকরি পেয়েছেন? 'সৎ' ভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন জয়ন্ত। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যা যা বলেছেন, সেটা আদতে তার নিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিল।
স্কুলে শিক্ষকপদে তার নিয়োগ এসসি কোটাতে হয়েছে নাকি সাধারণভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই জয়ন্ত বলেন, "আমি ২০০৯ সালে এসসি কোটায় আবেদন করি। কিন্তু সরকার আমাকে জেনারেল কোটায় চাকরি দেয়। সরকার যদি ভুল করে তবে আমি কি করতে পারি।"
হাওড়ার একটি স্কুলে চাকরি পাওয়া জয়ন্ত তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে কী ভাবে ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বদলি হয়ে গেলেন এবং তাঁর চাকরির বৈধতা নিয়ে ৭৮ জন চাকরিপ্রার্থী জয়ন্ত দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে আরও ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
একই সঙ্গে, তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে ১৭ জন হাইকোর্টে মামলা করেছিল। পরবর্তীতে সরকার সেই ১৭ জনকে সম্প্রতি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে বলে জয়ন্ত নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয় নিয়ে চলতি বছরে আবারও ৭৮ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।