নিউজ ডেস্ক: বলা হয় প্রেমের কোনো বয়স নেই। যে কেউ যেকোনো বয়সে প্রেমে পড়তে পারে। কিন্তু আজ আমরা যে ঘটনাটি আপনাদের বলতে যাচ্ছি তা খুবই মজার। ঘটনাটি বিহারের খাগরিয়া জেলার। যেখানে ভালোবাসার মাঝেও প্রতিশোধের বিষয়টি দেখা গেছে। যেখানে দুজন পুরুষ একে অপরের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে, খাগরিয়া জেলার চৌথাম ব্লকের হারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা নীরজের বিয়ে হয়েছিল ২০০৯ সালে পসরাহা গ্রামের রুবি দেবীর সঙ্গে। তাদের দুজনের চারটি সন্তানও ছিল, তবে পসরাহা গ্রামের বাসিন্দা মুকেশের সঙ্গে রুবি দেবীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মুকেশও বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। রুবি এবং মুকেশ দুজনেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পালিয়ে বিয়ে করেন। এ সময় তারা দুজনই তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়।
হারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা নীরজ যখনই জানতে পারেন যে তার স্ত্রী তার প্রেমিক মুকেশের সাথে পালিয়ে গেছে, নীরজ পসরাহা থানায় মুকেশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। নীরজ জানান, গ্রামে বহুবার পঞ্চায়েতও হয়েছিল কিন্তু মুকেশ ফিরতে রাজি হননি। এক বছর ধরে এই মামলা চলে। প্রতিশোধ নিতে নীরজ মুকেশের স্ত্রীর সাথে পালিয়ে বিয়ে করে। এর মধ্যে অবাক করার বিষয় হল, দুজনের স্ত্রীর নাম রুবি।
জানা গেছে, মুকেশের প্রতিশোধ নিতে মুকেশের স্ত্রী রুবিকে ফোন করেন নীরজ। কাকতালীয়ভাবে দুজনের স্ত্রীর নাম ছিল রুবি। নীরজ এবং মুকেশের স্ত্রী রুবির মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে প্রেমময় কথাবার্তা চলে, তারপরে তারা দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সালে গ্রাম থেকে পালিয়ে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন।
নীরজ টাটা কোম্পানিতে কাজ করে আর মুকেশ মজুরি করেন। এই বিয়ের খবর গ্রাম থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়তেই সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সবাই এটা অন্তত বলছেন যে সবাই তার পবিবার পেয়েছে।