Kode Iklan atau kode lainnya

Big News: শিক্ষিকার চাকরি বাতিল! 'SSC কি পার্থর পৈতৃক সম্পত্তি?' তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির

শিক্ষিকার চাকরি বাতিল

নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের বড় খবর সামনে এল। ফের আদালতের কটাক্ষের শিকার হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমসারির আন্দোলনকারীকে বেনিয়ম ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে! 'SSC কি পার্থর পৈতৃক সম্পত্তি?' তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি  ঘোষ সুপারিশপত্র দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই বছর ২০ মার্চ তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মামলাকারী প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দারের দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান-বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন এই সরমা।

এসএসসিও ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। আন্দোলন করতেই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় চাকরি হয়েছিল বলে মেনে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। আর গোটা বিষয়টি সামনেই আসতেই কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, "এসএসসির চাকরি কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে'র পৈতৃক সম্পত্তি! কীভাবে বেছে বেছে চাকরির সুপারিশ হয়! কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই শিক্ষিকার চাকরির সুপারিশ বাতিল করতে হবে। আর খতিয়ে দেখতে হবে এমন ঘটনা আরও রয়েছে কি না। 

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধা তালিকায় ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী প্রিয়ঙ্কা দত্ত সমাদ্দার। তাঁর অভিযোগ, তালিকায় ৩৩ নম্বরে নাম তাঁর ছিল। কিন্তু তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি। পরিবর্তে তালিকায় ৫৩ নম্বরে থাকা সরমা ঘোষকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন এবং অবস্থান-বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন সরমা ঘোষ। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে ডেকে কথাও বলেছিলেন। সেখানেও ছিলেন সরমা। তারপরই তিনি চাকরির সুপারিশপত্র পান। সরমাকে হাইকোর্ট এই মামলায় যুক্ত করা হয়। তিনি এর সত্যতা স্বীকারও করে নিয়েছেন। এরপরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ মার্চ। 

close