Kode Iklan atau kode lainnya

Big News: ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রশ্ন-উত্তরে ভুল করা হয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরাট দাবি সামনে

 

নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা এবং সেই পরীক্ষায় পাশ করাদের প্রাথমিক শিক্ষকপদে নিয়োগ! গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উচ্ছাকৃত ভুল উত্তর দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়েছিল, তারপর কোর্টের নির্দেশ মেনে-না মেনে দেদার চাকরি বিলি করা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি ইডির।

২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় অন্তত ছয়টি প্রশ্নের ভুল উত্তর ছিল। এই পরীক্ষার মাধ্যমে দুই দফায় মিলিয়ে প্রায় ৫৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। এই পরীক্ষা ঘিরে দফায় দফায় মামলা করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হয়।  বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয় আদালত। তাতেই ভুল উত্তরপত্রের প্রমান মেলে। এরপর আদালত নির্দেশ দেয় যারাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁদের নম্বর দিতে হবে।  আদালতের নির্দেশমত অনেককেই চাকরি দেওয়া হয়, এখনও মামলা চলছে।

আরও চমকপ্রদ যে তথ্য উঠে এসেছে তা হল, আদালতের নির্দেশে যে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল, তাঁদের অনেকেই ছয়টি ভুল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা না করলেও নম্বর দেওয়া হয়েছে।  কারোর আবার ছয়টি প্রশ্নের বাইরেও অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছে। 

সব দেখে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি মনে করছে, ভুল প্রশ্ন পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছিল।  এটা আসলে ষড়যন্ত্রর অংশ ছিল। সম্প্রতি আদালতে লিখিত ভাবে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। তাদের দাবি, ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্র এবং মূল্যাণ করা হয়েছিল সন্দেহজনক ভাবে। যাতে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়। 

close