নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষা! তারপরেও নিয়োগ নিয়ে তেমন তৎপরতা নেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের। এই অবস্থায় অবিলম্বে মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে ফের পথে নামলেন চাকরি প্রার্থীরা। মেধা তালিকা প্রকাশ করে ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া করার দাবিতে চাকরি প্রার্থীরা ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরা পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালীন ধারাবাহিক অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করলেন।
অবিলম্বে মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ করে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবিতে অবস্থানে বসলেন উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধারাবাহিক বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করেছেন দু’বার ইন্টারভিউয়ে বসা প্রার্থীরা। আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষের প্রশ্ন, ‘হাইকোর্ট ৩০ সেপ্টেম্বর এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছিল, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মেধাতালিকা জমা করতে হবে। নভেম্বর শেষ হতে চলল। চূড়ান্ত প্যানেল কোথায়?'
এসএসসি সূত্রে খবর, মেধাতালিকা প্রায় চূড়ান্ত। ফাইনাল চেকিংয়ের কাজ চলছে। এ দিকে হাতে এসএসসি-র সুপারিশপত্র পেয়েও আদালতের স্থগিতাদেশের জেরে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় ১২৮০ জন ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীর নিয়োগপত্র এখনও অধরা। তাঁরা শিয়ালদহ থেকে রানি রাসমণি রোড অবধি মিছিল ও অবস্থানের ডাক দিয়েছিলেন। পুলিশ মৌলালিতেই মিছিল আটকে দেয়। এসএসসি যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চ (শারীর ও কর্মশিক্ষা) সভাপতি রাজু দাস বলেন, 'যোগ্য হয়েও রাস্তায় বসে আছি। আদালত ও তদন্তকারী সংস্থা সুপার নিউমেরারি পদে আমাদের নিয়োগে ছাড়পত্র দিক।'
উচ্চ প্রাথমিকের বাকি থাকা ১,৫৮৫ জন শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। অনুপস্থিত এবং বাতিল মিলিয়ে বাদ গিয়েছেন ৭১ জন। অর্থাৎ, ১,৫১৪ জন ইন্টারভিউ দিয়েছেন।
দীর্ঘ আট বছর ধরে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। এরফলে একদিকে যেমন শিক্ষকের অভাবে সমস্যায় পড়ছে স্কুলগুলো। অন্যদিকে, হতাশা বাড়ছে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।