নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে জট আরও বাড়ছে। কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে আরও এক মাস স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি বসুর নির্দেশেই গত ১৮ নভেম্বর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে।
উচ্চ প্রাথমিকের এই দুই বিভাগে ১৬০০ নতুন শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। যা যথাযথ নয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। বস্তুত, এসএসসির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়া ‘শিক্ষক’দের বাঁচাতেই ওই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে তড়িঘড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে। বুধবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট জানিয়ে দিল আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম এসএলএসটির শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিভাগে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি বসুর নির্দেশেই গত ১৮ নভেম্বর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে। তারও আগে ১০ নভেম্বর থেকে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিভাগে কাউন্সেলিং শুরুর কথা ঘোষণা করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ। মোট ১,৬০০ চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় এসএসসির তরফ থেকে। এর মধ্যে কর্মশিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৭৫০ এবং শারীরশিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৮৫০। এসএসসি এ-ও জানায় যে, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত চাকরিপ্রার্থীদেরই সুপারিশপত্র দেওয়া হবে এসএসসি-র তরফে। তবে সেই ঘোষণার ৮ দিনের মাথায় আদালতের স্থগিতাদেশ জারি হয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। বুধবার যার মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ল। আগামী ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে মামলাটির।