নিউজ ডেস্ক: সরকারকে কালিমালিপ্ত করার একটা চেষ্টা চলছে বলে এবার অভিযোগ করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। সোমবার ডিএলএড কোর্সের ফাইলার পরীক্ষার প্রথম দিন ছিল। অভিযোগ, পরীক্ষা শুরুর আগেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে। পরীক্ষার কিছু ক্ষণ আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার ছিল ওই পরীক্ষা। প্রশ্নফাঁস নয়, সরকার ও পর্ষদের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। 'সরকারকে কালিমালিপ্ত করার একটা চেষ্টা চলছে। স্বচ্ছতা মেনে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রাথমিক পর্ষদ। ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর সবাই কি প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিচ্ছে?’ ডিইএলইডি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের।
সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ডিএলএড কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। পরীক্ষা চলে দুপুর ২টো পর্যন্ত। অভিযোগ, সোমবার সকাল ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়াদের যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে, আর হোয়াটসঅ্যাপে যে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে, দুটোই এক বলে দাবি করা হয়েছে।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘এই অভিযোগকে পর্ষদ হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না। তদন্ত কমিটি তৈরি করছি। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের কোনও ক্ষতি হবে না। এ নিয়ে যদি পর্ষদ কোনও সিদ্ধান্ত নেয় আগামী দিনে, তা হলে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে না। এটা প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নয়। সরকার ও পর্ষদের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। নিয়ম মেনেই পরীক্ষা হয়েছে। আগামী দিনে কোনও অনৈতিক কাজ হলে পর্ষদ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”