নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। প্রসন্নকুমার রায়ের পর আরও এক মিডলম্যানকে ম্যারাথন জেরা করছে সিবিআই আধিকারিকরা। প্রসন্নর আরও এক সহকর্মী রোহিত শর্মাকে মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এখনই নিস্তার নেই রোহিতের। আজ, বুধবার আবারও তাঁকে তলব করেছে সিবিআই।
চোখে পড়ার মত সম্পত্তি প্রসন্নর এই সহকর্মীর সম্পত্তির পরিমাণ। রাজারহাট-নিউটাউন এলাকাতেই তাঁর চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লক্ষ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা। সমস্ত ফ্ল্যাট ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যেই কেনা হয়েছে। রাজারহাট-নিউটাউন এলাকাতে রোহিতের জমিও রয়েছে। যার দামও প্রায় কোটির কাছাকাছি। এখানেই শেষ নয়। কলকাতার বাইরে একটি বাংলোও কেনা রয়েছে রোহিতের নামে। কাঁথি, মন্দারমনিতে একাধিক রিসর্টও রয়েছে তাঁর নামে।
কিন্তু একজন ছাপোষা কর্মীর এত টাকা হল কীভাবে? সিবিআইয়ের জেরায় উঠে এসেছে, প্রসন্নর টাকাতেই রোহিতের এতো ফুলে ফেঁপে ওঠা। রোহিতকে দিয়েই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনিয়েছিলেন প্রসন্ন।
নিয়োগ দুর্নীতিতে রোহিতের ভূমিকা প্রসঙ্গে সিবিআই সূত্রে খবর, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে প্রসন্নর হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রোহিতের। বিভিন্ন জেলা থেকে সুপারিশ পত্র নিয়ে আসতেন তিনি। এসএসসি দপ্তর থেকে চাকরির ভুয়ো অফার লেটার প্রসন্ন নিয়ে এসে রোহিতের হাতে দিতেন। রোহিত বিভিন্ন প্রার্থীদের সেই অফার লেটার পৌঁছে দিত। এছাড়া বিভিন্ন প্রার্থীকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকাও নিয়েছেন তিনি। জেরায় উঠে এসেছে প্রসন্ন রোহিতকে বলেছিলেন, প্রার্থী ধরে আনলে চাকরি দিয়ে দেওয়া হবে। তার বদলে রোহিতকে মোটা কমিশনও দেওয়া হবে।
যদিও, রোহিতের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এতো সম্পত্তি তাঁর মক্কেলের নেই। তবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, মোবাইলের কলের তালিকা দেখেই প্রসন্ন ও রোহিতের মধ্যে যোগাযোগের সূত্র খুঁজে পেয়েছে সিবিআই।