নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সালের পর রাজ্যে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১২ টেট মাধ্যমে নিয়োগের তথ্যও সংগ্রহে রাখতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতদিন ২০১৪ থেকে নিয়োগ হওয়া সমস্ত নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার ২০১২ সালের টেট বিষয়ক তথ্যও চেয়ে পাঠাল তারা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বে অধ্যাপক গৌতম পাল আসার পরে সচিব রত্না বাগচির জারি করা এই সংক্রান্ত প্রথম অর্ডার জারি হল। ২০১১ সালের পরে হওয়া সমস্ত নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২০১২ সালের টেটও পড়ছে। এই বিজ্ঞপ্তির পরেই তীব্র সরগরম রাজ্য জুড়ে।
যদিও, এ প্রসঙ্গে গৌতম পাল বলেন, “আমাদের নিজস্ব তথ্য রাখার জন্যই সমস্ত জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যদি কোনও এজেন্সি চায়, তাহলে এই তথ্য দিতে সুবিধে হবে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে দু’দফায় ২০১৪ সাল এবং পরবর্তী টেটগুলির মাধ্যমে নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল সংসদ। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে দেওয়ার জন্যই যে সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। ২০১২ সালের নিয়োগ নিয়ে বর্তমানে কোনও মামলা সেভাবে নেই। অন্তত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের আওতায় তো নেইই। তাহলে কেন সেই টেটের মাধ্যমে নিয়োগের হিসেব চাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ওই পরীক্ষায় একটি প্রশ্নপত্র ভুল থাকায় আদালতের নির্দেশে পরবর্তীকালে অন্তত ৯০০ প্রার্থী চাকরি পেয়েছিলেন। সেই তথ্যও এখন সুসংহতভাবে হাতে রেখে দিতে চাইছে পর্ষদ।