 |
| ফাইল চিত্র |
নিউজ ডেস্ক: বর্তমান রাজনীতির পরিস্থিতি নিয়ে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'এত নোংরামি দেখলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম', কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে তলব নিয়ে ক্ষোভ উগরালেন মমতা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের পরের দিনই কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ED।
বুধবার এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিহিংসা না প্রকাশ্যে হিংসা! আমি আগেই বলেছিলাম আমি সমাজ সেবা করতে রাজনীতিতে এসেছিলাম। এই রকম নোংরা রাজনীতি দেখলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। কয়লা কার? গোরু কার? সব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে। যদি আমাদের সাহায্য চায় বলুন সাহায্য করব। কখনও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি হয়ে গাড়ি আসছে। সব তদন্ত হোক। ১১ বছর হল ক্ষমতায় এসেছি। তার আগে কী হয়েছে খবর নিয়ে দেখুন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না। আমরা কারও খাই না, কারও পরি না। জেনে বুঝে কারও ক্ষতি করিনি। রক্তপাতে আমার ভয়। মশা মারতেও ভয় পাই। আমাদের অপমান করা হচ্ছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকাটাও পাচ্ছি না। এখন তো একটাই ট্যাক্স GST। সব রাজ্য থেকে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের প্রাপ্যটা দিচ্ছে না। আমি সেটিং করতে পারিনি। অনেক কংগ্রেস নেতা সেটিং করে নিয়েছে। আমি সেটিং করতে পারিনি বলেই আমার দেহের এমন কোনও জায়গা নেই যা গত ৩৪ বছরে ক্ষতবিক্ষত হয়নি...মনে রাখবেন সমস্ত রাজনীতিবিদ খারাপ নয়। সকলেই খারাপ হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মানুষ আমরা পেতাম না। সব জায়গায় সবটা ভালো নাও হতে পারে। আমরা তো সব সম্পত্তির হিসেব নির্বাচন কমিশনকে দিই।"
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যে টাকা পাই তা থেকে এক টাকাও নিইনি। চা'ও নিজের টাকাতেই খাই। সবমিলিয়ে আজ পর্যন্ত পাঁচ ছয় কোটি টাকা প্রাপ্য। এক টাকাও নিইনি। আমি বই লিখি। সময় খুব একটা পাই না। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার মানুষ আমার পরিবার। আর তো কোনও পরিবার নেই। রান্না বান্নাও করতে হয় না। যদিও আমি রান্না করতে ভালোবাসি। অভিষেকের মা (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) দেখে দেয়। সেই অবসরে একটু লিখি, ছবি আঁকি।"
