Kode Iklan atau kode lainnya

‘শিক্ষকপদে ৮৯ হাজার ৩৫টি চাকরি হাতে আছে’, বড় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

‘শিক্ষকপদে ৮৯ হাজার ৩৫টি চাকরি হাতে আছে’, বড় দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানায় গত ১১ বছরে কত চাকরি হয়েছে, তার ফিরিস্তি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধর্মতলার গাঁধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, গত ১১ বছরে স্কুল এবং কলেজ মিলিয়ে বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে এক লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০টি চাকরি হয়েছে। 

তাঁর বক্তব্য, ‘‘আকাশবাবু, বিকাশবাবু ক’টা অভিযোগ করেছেন। ২০০-২৫০টি। তাঁরাই মূলত নতুন চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন।’’ বর্তমানে আরও কত চাকরি তাঁর সরকারের জমানায় হতে পারে, তার ফিরিস্তিও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। 

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘’৮৯ হাজার ৩৫টি চাকরি হাতে আছে। হয়েও যেত, এক জন-দু’জন স্বার্থান্বেষীর জন্য আটকে আছে। অনেকে বলে, তৃণমূলের সময় চাকরিবাকরি কী হয়েছে? এক লক্ষ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ হয়েছে। ১৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলনে। ২ হাজার ৮০০ আইটি সংস্থা কাজ করছে, লেদার পার্ক কাজ করছে। দেড় কোটি মানুষ এমনি কাজ করছে। দেশে যখন ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব, তখন রাজ্যে ৪০ শতাংশ বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।’’ 

মমতা আরও বলেন, 'আপনারা বলুন তো, কত ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে আমাদের আমলে ? সিপিএম তোমার আমলে, লিস্ট কোথায় ? আলমারি কোথায় ডকুমেন্ট কোথায় কারা চাকরি পেয়েছে  পসা নিয়েছো , আর চাকরি দিয়েছো।  তাই সিস্টেমটা ওরাই ভাল জানে। আজকে তৃণমূলকে বলছে চোর। আমি যদি আজ রাজনীতি না করতাম, আর এই চেয়ারে না থাকতাম, আমি আমার বোনেদের বলতাম, যারা এই মিথ্যে কথা রটনা করে, তাঁদের জিভগুলিকে টেনে খুলে দিতে।' এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল সার্ভিস মনে রাখবেন, স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ টি চাকরি দিয়েছি।' তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকারে ১৭৬ টি পলিটেকনিক, ৭ হাজার নতুন স্কুল, স্কুলে যাওয়ার জন্য ব্যাগ, বই বিনে পয়সায় দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী ৮০ লক্ষ স্কলারশিপ পায়। সবুজ সাথী সাইকেল ১ কোটি ৭ লক্ষ,  শিক্ষাশ্রী ১ কোটি ৫ লক্ষ এবং এছাড়াও বারো ক্লাসে বিনাপয়সা ট্যাব দেওয়া হয়,  এগুলি মনে রাখবেন, বলেন এদিন মমতা।

মমতার আরও দাবি, ‘‘ডেউচা পাচামি হচ্ছে, তাজপুর পোর্ট হচ্ছে। ডানকুনি রঘুনাথপুর, জঙ্গলমহলে বিনিয়োগ হচ্ছে। এই সমস্ত বিষয়গুলি বাস্তবায়িত হয়ে গেলে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ খুলে যাবে। স্কুলে ছেলেমেয়েদের জামাকাপড় দেওয়া হচ্ছে।’’ স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়েই যে স্থানীয়দের হাতে কাজ তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা-ও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'দুর্নীতি সামনে এনেছি বলেই আমার বিরুদ্ধে চিঠি', এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

একটি নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''আমার বিরুদ্ধে কিছু আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। আমি অবাক হয়েছি।'' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''আমার বিরুদ্ধে কিছু আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। আমি অবাক হয়েছি। চিঠিতে লেখা হয়েছে আমি একটি নির্দিষ্ট দলের বিরুদ্ধে কাজ করছি। চিঠিতে কেউ লিখল না, আমার জন্য কতগুলো মানুষ জেলে রয়েছে। কতজন গ্রেফতার হয়েছে। আমার বেঞ্চে কাউকে একটাকা দিতে হয় না মামলা তোলার জন্য। এগুলো বন্ধ করে দিয়েছি।''

হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিককে এজলাসে দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবেগঘন ভাবে বলেন, ''আমাকে নিয়ে পড়েছ কারণ আমি কোরাপশন সামনে এনেছি তাই। এই আদালতের অনেক বিচারপতিই দেরি করে বসেন। কেউ দুপুর ১২টায় বসেন আবার উঠে যান বিকেল ৩টের সময়। সেই সমস্ত বিচারপতিদের নিয়ে কেন কোনও চিঠি লেখা হয়না?''

এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ''আমি এই চিঠি বরদাস্ত করব না। যারা চিঠিতে সই করেছেন তাদের বলার সুযোগ দেব। আর তারপর ক্রিমিনাল কনটেম্প জারি করব। হাই কোর্ট বারের এক্সিকিউটিভ সদস্য কাকলি নস্করের সই দেখেছি চিঠিতে। আমি তাঁর সঙ্গেও কথা বলতে চাই, বিকেলে চেম্বারে আসুক কাকলি নস্কর। তাঁকে নিয়ে আসুন বার সম্পাদক।''

close