নিউজ ডেস্ক: কোনোভাবেই মুখ খোলানো যাচ্ছে না। অনুব্রত মন্ডলকে বাছাই করা ১৫টি প্রশ্ন করা হয়েছে। পনেরোতম প্রশ্নেও একেবারে নীরব অনুব্রত মণ্ডল! তাঁর দেহরক্ষী সায়গলকে ১০টি প্রশ্ন করা হয়। তিনিও চুপ। দু’জনকে জেরা প্রায় দেড় ঘণ্টা। কিন্তু, কাউকেই মুখই খোলাতে পারেননি সিবিআইয়ের দুঁদে আধিকারিকরা।
অনুব্রত মন্ডল না কি বলেই গিয়েছেন—‘যা বলার আমার চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বলবেন।’ ‘অনুব্রত স্যর’য়ের এই কৌশল মেনে চলেছেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। অফিসারদের শত চেষ্টাতেও রা কাড়েননি তিনি। ফলে মঙ্গলবার দিনের শেষে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ফিরতে হল খালি হাতে!
মঙ্গলবার, বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগারে আসেন তদন্তকারীরা। জেল সুপারের ঘরেই জেরার বন্দোবস্ত করা হয়। প্রথমে নিয়ে আসা হয় সায়গলকে। জেরা চলে ২০-২৫ মিনিট। সূত্রের খবর, মূলত ১০টি প্রশ্নের জবাব চেয়েছিল সিবিআই। একটিরও উত্তর দেননি সায়গল। তাঁকে ছেড়ে আনা হয় অনুব্রতকে। চাঁচাছোলা ১৫টি প্রশ্ন—দেবত্ব সম্পত্তি হস্তান্তর থেকে শুরু করে মেয়ে সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তির উৎস সংক্রান্ত। কিন্তু তদন্তকারী অফিসারের প্রায় সব প্রশ্নই এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
মাঝে মধ্যে দু’ একটা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন ঠিকই, তাতে অবশ্য সিবিআইয়ের লাভের লাভ কিছু হয়নি। কখনও তিনি বলেছেন, এভাবে বলা যায় না কি! নথি দেখে বলতে হবে। আবার কোনও জবাব দিতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য—এসব আমার চাটার্ড অ্যাকাউটেন্ট জানেন। অনুব্রত-সায়গলের এহেন নীরব অবস্থানে কার্যত হতাশ সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। অগত্যা, বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ জেল সুপারের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।