নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে কি সোমবার এসএসসি নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চিলেছে? তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে বলেই সূত্রের খবর। আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা এসএসসির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে।
সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছেন বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব স্তরের আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে থাকতে পারেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিও। সেখানেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জরুরি আলোচনা হতে পারে।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক পদ ফাঁকা রয়েছে ২ হাজারের বেশি স্কুলে। সেই শূন্য পদগুলিতে নিয়োগের জন্য এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে নবম দশম-এর চাকরি প্রার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তা নিয়েও কীভাবে জট কাটতে পারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই বৈঠকে।
কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে আদালতে বলা হয়েছে, একাদশ-দ্বাদশে শূন্যপদ-৫,৫২৭টি, নবম-দশমে শূন্যপদ- ১৩,৮৪২টি, উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদ-১৪,৩৩৯ এবং প্রাথমিকে শূন্যপদ-৩,৯৩৬টি। এছাড়াও ২ হাজার ৩২৫ টি প্রধান শিক্ষকের পদ আছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, "এত শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হচ্ছে না কেন? রাজ্যের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বলছেন যে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রাথমিকের ৩৯৩৬ শূন্যপদে আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই। কেন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না সেটা বোধগম্য নয়।"
আদালতের এই কড়া অবস্থানের পর শিক্ষামন্ত্রীর এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্য বহন করে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই রাজ্যের "প্রধান শিক্ষক" নিয়োগের জন্য বিধি প্রস্তুত হয়ে গেছে। এসএসসি মারফত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় রাজ্য। এসএসসি নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা রাজ্য দিতে চায়।