নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আরও বিস্ফোরক তথ্য হাতে এল CBI-এর। চাকরির আবেদন না করেই সুপারিশপত্র পেয়েছেন অনেকেই! এমনই তথ্য এল সিবিআইয়ের হাতে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগামী ১০ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। তাই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আরও গতি বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা। বিভিন্ন মামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। সেখানেই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই।
গ্রুপ সিতে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যা ৩৮১ জনের থেকেও বেশী। একাধিক জায়গায় চাকরিপ্রার্থীরা উপস্থিত হলে শিক্ষক অথবা পরিচালন সমিতির বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্কুলকে বাধ্য করা হয়েছে নিয়োগের জন্য। এমনটাও অভিযোগ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
সরকারি সূত্রে খবর গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে ত্রটিপূর্ণ নিয়োগ হয়েছে প্রায় এক হাজার।
শনিবার থেকেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভবন আচার্য সদনে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখান থেকে একাধিক নথি, ফাইল হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর, তিন মামলাকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গ্রুপ সি এবং নবম ও দশম শ্রেণীর নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা জানতে তিন মামলাকারীদের তলব করা হয়। সোমবার হাজিরা দেন তিন জন।
কিসের ভিত্তিতে মামলাকারীরা মামলা করেছিলেন? লিস্টে তাঁদের নাম কতপ নম্বরে ছিল? তাঁদের কাছে কী কী প্রামাণ্য নথি দুর্নীতি সম্পর্কে তাঁরা কীভাবে নিশ্চিত হলেন? কোন কোন তথ্য ও নথি রয়েছে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে? সমস্ত কিছু মামলাকারী দের থেকে জানতে চায় সিবিআই আধিকারিকরা।
আগামী ১০ জুন তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগেই তদন্তে গতি বাড়াতে চায় সিবিআই। নিজাম প্যালেসে বুধবার উপস্থিত হবেন ববিতা সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়তোগ সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই।
