Kode Iklan atau kode lainnya

রাজ্যের ২৫% স্কুলে নেই প্রধানশিক্ষক, রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা দফতরের, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে এসএসসি

 

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিপুল সংখ্যক প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। অন্তত ২৫% স্কুলে নেই প্রধানশিক্ষক! এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা দফতরের। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে ২৫ শতাংশ স্কুলের পরিচালনা। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন।তার জেরে এত সংখ্যক শূন্যপদ তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করছে শিক্ষা দফতর।

রাজ্যে ৯৯০০টির মত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এর মধ্যে ২১২৫ টির মত স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষক। জানা যাচ্ছে, বিপুল সংখ্যক প্রধান শিক্ষক এর শূন্যপদ নিয়োগে উদ্যোগী রাজ্য। সম্প্রতি এসএসসি মাধ্যমিক বোর্ড থেকে তথ্য চায় প্রধান শিক্ষক শূন্যপদ নিয়ে। সেই সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হয়েছে এসএসসি তে বলেই সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে শীঘ্রই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় রাজ্য। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের আইন বদলানো হবে বলেই খবর। 

প্রাথমিকভাবে প্রায় ২১২৫ শূন্যপদ আছে। তবে এই শূন্যপদ বেড়ে প্রায় ছ’হাজারে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিধানসভায় খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, রাজ্যের স্কুলগুলিতে ৫৮০০-এরও বেশি প্রধান শিক্ষক পদ খালি রয়েছে।

শিক্ষাদপ্তর ছাড়পত্র দিয়ে নিয়োগ বিধি তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি দিতে দিতে কয়েক মাস সময় লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের একাংশ। পূর্ববর্তী বিভিন্ন নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতার মধ্যে রয়েছে এসএসসি তথা রাজ্য সরকার। সেই সব আইনি জটিলতা কাটিয়েই শিক্ষক নিয়োগে ফিরতে চায় সরকার। তবে, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি তুলনায় কম জটিল। আপাতত, সেটা দিয়েই সরকার নিয়োগের সূচনা করতে  রাজ্য। 

২০১৬ সালে শেষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল এসএসসি। নিয়োগ সমাপ্ত হয়েছিল ২০১৯ সালে। অ্যাডভান্স সোসাইটি অব হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেস-এর দাবি, রাজ্যের অর্ধেক স্কুলেই প্রধান শিক্ষক নেই। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

close