নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে টেট প্যানেলে নাম তুলতে বড় চক্র চলছে! ফের সাবধান করলেন মহুয়া মৈত্র। TET Panel টেট প্যানেলে নাম তোলার নামে দুর্নীতিচক্র চলছে তেহট্টে! রাজ্যে যখন একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন সরব বিরোধীরা সেই সময় এই বিষয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং মহুয়া মৈত্র। নদিয়া জেলাতেই এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই নিয়ে মন্তব্য করলেন সাংসদ।
চোরদের ভয় পাবেন না, যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এক দিন না একদিন ধরা পড়বেই! এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিন মহুয়া মৈত্র তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “সবাইকে সতর্ক করতে চাই - তেহট্ট পলাশীপাড়া এলাকাতে একটি চক্রর অভিযোগ অনেকজন করছে। 2014 সালের কোর্টের রায়কে অন্যায়ভাবে ঢাল করে ৬ নম্বর বাড়িয়ে ব্যাকডেটে TET প্যানেলে নাম নথিভুক্ত করার চক্র চলছে। আজ নয়তো কাল এই চক্রটিও ফাঁস হবে। জনসাধারণ কে আবার সতর্ক করছি - এই সব fraud লোকেদের পাল্লায় পড়বেন না, তাদের পেছনে ঘুরবেন না।”
সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে। বিধায়কের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ সামনে এসেছে। এদিনই তাঁর আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন শাখা। যদিও প্রবীর কয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বিধায়ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “এই ধরনের একটি চক্র পলাশিপাড়া এলাকায় গজিয়ে উঠেছে। একটি মামলার দোহাই দিয়ে প্যানেলে নাম তুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বিনিময়ে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে এলাকার তরুণদের থেকে। অনেকেই এই চক্রে পা দিয়ে জীবনের সঞ্চয় খোয়াচ্ছেন। বিষয়টি এলাকার সাংসদের নজরে আনতে চাই।”
এরই মধ্যে ফেসবুকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেখানেই দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিয়েছেন এই তৃণমূল সাংসদ।
একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন, দলকে সামনে রেখে কোনও রকমের তোলাবাজি করা যাবে না - চাকরি দেওয়ার নাম করে, TET প্যানেলে নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ বা কারা যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে নির্ভয়ে এক্ষুনি পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন। ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনও কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এক দিন না একদিন ধরা পড়বেই - তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন - চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি।”
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিষয়টি কানে এসেছে। এলাকাবাসীকে বলছি এই রকম কোনও প্রতারণার শিকার হলে ভয় না পেয়ে আমাকে জানান। এই সমস্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজ্যের পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। অতীতেও প্রবীরের নামে বহু অভিযোগ সামনে এসেছে। আইন আইনের পথে চলবে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন অন্যায় করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।"
