Kode Iklan atau kode lainnya

ডিএ দেওয়ার বিষয়টি বিধানসভা সিধান্ত নিয়ে থাকে, আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারেনা: রাজ্য

 

নিউজ ডেস্ক: আজ কলকাতা হাইকোর্টে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার শুনানি শেষ হল। যদিও মামলার রায়দান করা হয়নি। বিচারপতি এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছেন। আশাকরা হচ্ছে আগামী সপ্তাহেই এই মামলার রায়দান হবার। 

শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছে, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারেনা। 

একই সঙ্গে আদালত রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করা হয়, '২০১০ পর্যন্ত বছরে দু'বার ডিএ দেওয়া হত, বন্ধ হল কেন? দ্রব্যমূল্যর হিসাবে কর্মীদের অবশ্যই ডিএ দেওয়া উচিত।' 

যদিও রাজ্য জানায়, ডিএ মামলার শুনানি আদালত করতে পারে না। এদিন রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ডিএ দেওয়ার বিষয়টি বিধানসভা সিধান্ত নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোর্টের হস্তক্ষেপ ঠিক নয়। যেহেতু বিষয়টি বিধানসভা সিধান্ত নিয়ে থাকে, তাই বিচার ব্যবস্থা এটাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা। 

অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা রাজ্যের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়৷ রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিচার করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মূল বেতনের সঙ্গে সামর্থ মতো মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে।’’

তখন বিচারপতি বলেন, ‘‘সেটা রাজ্য কেন করছে? মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে মহার্ঘভাতা ঠিক হওয়া উচিত।’’ এর প্রত্যুত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রের হারেই বছরে দু’বার ডিএ দিতে হবে আইনে কোথাও একথা বলা নেই।’’

এদিন শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যদিও রায় দেওয়া হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের সোমবার বা মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ ডিএ মামলার রায়দান করবেন। সেক্ষেত্রে কত শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে বা কত টাকা বকেয়া দিতে হবে সেদিনই জানাতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।  

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন সময় ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করলেও বাংলায় ডিএ-র দেখা নেই। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। যদিও বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই বেতন বঞ্চনা। 

close