Kode Iklan atau kode lainnya

ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার, এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই; জানিয়ে দিল আদালত

 

নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘভাতা বা ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার, ফের জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছে, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। এনিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না। আজ শুক্রবার ফের মামলার শুনানি হবে। 

২০১৯-এর ২৭ জুলাই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে  নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, বকেয়া সহ ৬ মাসের মধ্যে ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। কীভাবে ডিএ দেওয়া হবে, ৩ মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানাতেও নির্দেশ দিয়েছিল স্যাট। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য। কিন্তু চলতি বছর জুলাইয়ে  সেই রিভিউ পিটিশন খারিজ করে আগের রায়ই বহাল রাখে স্যাট। 

এরপর রাজ্য সরকার স্যাটের রায় না মানায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ও অন্য কয়েকটি সরকারি কর্মচারী সংগঠন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্যাট জানায়, ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়াসহ বর্ধিত হারে রাজ্যকে মহার্ঘভাতা দিতে হবে। স্যাটের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য। সেই মামলায় এদিন সরকারি কর্মীদের ডিএ-র হার কী হবে, তা নিয়ে সওয়াল জবাব চলেছে। 

মামলাকারীদের দাবি, ২০০৯-এর রোপা আইন অনুযায়ী মূল্য সূচকের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ডিএ দিতে হবে। সরকার পক্ষের অবশ্য দাবি, স্থানভেদে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র হার ভিন্ন হতে পারে। এতে আইনত বাধা নেই।

বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন সময় ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করলেও বাংলায় ডিএ-র দেখা নেই। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। যদিও বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই বেতন বঞ্চনা। 

close