নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার পাতিয়ালায় খালিস্তান বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন সংঘর্ষের পর শিবসেনা নেতা হরিশ সিংলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কালী মাতা মন্দিরের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যখন নিজেকে শিবসেনা (বাল ঠাকরে) বলে একটি সংগঠনের সদস্যরা 'খালিস্তান মুর্দাবাদ মার্চ' শুরু করে। উভয় গ্রুপের সদস্যরা তলোয়ার নেড়ে একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়ে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। আহত হন অনেকেই।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান-এর সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের পর এই গ্রেপ্তার করা হয়। মিঃ মান ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তার সরকার কাউকে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে দেবে না। এদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এক পক্ষ নিজেদের শিব সেনার কর্মী সমর্থক বলে পরিচয় দিয়ে খালিস্তান বিরোধী একটি মিছিল করছিল। মিছিলেন নেতৃত্বে ছিল হরিশ সিংলা নামক এক ব্যক্তি। অন্য দিক থেকে আসছিল শিখ সম্প্রদায়ের একটি দল। মনে করা হচ্ছে সেই দলটি খালিস্তান পন্থী। পাটিয়ালার কালি মাতা মন্দিররের সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষ (Patiala Clash) বাঁধে তাদের। এরপর দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে দু’পক্ষই একে অপরের দিকে পাথর ছোঁড়ে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূণ্যে গুলি চালায় পুলিশ।
"খালিস্তান মুর্দাবাদ মার্চ" এর আয়োজন করেছিলেন "শিবসেনা (বাল ঠাকরে)" নেতা হরিশ সিংলা। সেনা কর্মীরা "খালিস্তান মুর্দাবাদ" স্লোগান তুলে আর্য সমাজ চক থেকে মিছিল শুরু করে।
মিঃ সিংলা বলেন, শিখস ফর জাস্টিসের গুরপতবন্ত পান্নুন ২৯শে এপ্রিলকে "খালিস্তানের প্রতিষ্ঠা দিবস" হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। "তাদের উত্তর দেওয়ার জন্য, সেনা ২৯ এপ্রিল 'খালিস্তান মুর্দাবাদ মার্চ' করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
যদিও পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, শিবসেনা (বাল ঠাকরে) পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মিছিল করেছে।