Kode Iklan atau kode lainnya

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্থগিতাদেশ নিয়ে নজিরবিহীন সংঘাত কলকাতা হাইকোর্টে

নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল কলকাতা হাইকোর্টে। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে বারেবারে স্থগিত করা নিয়ে সংঘাত বাঁধল সিঙ্গেল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের মধ্যে। যা এক কথায় নজিরবিহীন। 

শিক্ষক নিয়োগ সহ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই নির্দেশকে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে তুমূল ক্ষুদ্ধ বিচারপতি  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সমস্যা সমাধানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। 

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন যা চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ পাচ্ছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। শেষ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে বুধবার গুরুতর প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। এহেন সংঘাত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে আইন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ। 

ডিভিশন বেঞ্চের কাজ কর্মে ক্ষুব্ধ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি কাজ করতে পারবে কিনা, তাই খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিক দেশের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

গতকাল, বুধবারই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দুই প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি খুঁজে বারতে সিবিআই অনুসন্ধান নির্দেশে যেভাবে বারেবারে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তাঁতে বিচারে দ্বিচারিতা লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছে একক বেঞ্চ। এই অবস্থায় দেশের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ করছে ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজে বার করতে হাত বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একক বেঞ্চের । 

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজে বার করতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একক বেঞ্চের হাত। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারের নামে দ্বিচারিতা করছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ সি-ডি মামলার শুনানি চলাকালীন একজন আইনজীবী মন্তব্য করেন...'কথা হয়ে গেছে স্থগিতাদেশ হয়ে যাবে।'

গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি এবং নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে CBI তদন্তের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এবং এসএসসি উপদেষ্টা এস পি সিনহার হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ যেভাবে মঙ্গলবার সংশোধন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ, তাতে বিচারের হাত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, এসএসসি উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিংহের সম্পত্তির হিসেব নিয়ে তার দেওয়া নির্দেশের পাল্টা সিলবন্ধ খাম খোলা যাবে না বলে যে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ, সেই বিতর্কেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমার হাত বারবার বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি দেখার জন্য আমি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাচ্ছি। চাকরিতে যে দুর্নীতি হয়েছে, এই বিষয়টিও দেখুন।’’

close