Kode Iklan atau kode lainnya

স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্ত দুই শিক্ষক, আরও চার শিক্ষক জ্বরে কাহিল, বন্ধ হয়ে গেল স্কুল

 

নিউজ ডেস্ক: বহু প্রস্তুতির শেষে ১৬ নভেম্বর শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন পঠনপাঠন। দীর্ঘ দিন বাদে স্কুলেফিরে খুশি পড়ুয়ারা। কিন্তু এরই মধ্যে বিপত্তি পূর্বস্থলী নীলমণি ব্রহ্মচারী ইনস্টিটিউশনে। সেখানকার দু’জন কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। এ দিকে, আরও চার শিক্ষক জ্বরে আক্রান্ত। স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনায় ছাত্র ও শিক্ষক মহলে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ওই স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ও সংস্পর্শে আসা সমস্ত পড়ুয়ার কোভিড টেস্ট করানাের কথা জানিয়েছেন কালনার মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ। সেই রিপাের্ট না আসা পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ, মঙ্গলবার বিদ্যালয় ভবন স্যানিটাইজ করার কথা জানানাে হয়েছে। তবে বিষয়টি না-জানায় সােমবার ক’জন ছাত্রছাত্রী স্কুলে গিয়েও ফিরে যায়।

দুই শিক্ষকের করােনা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি দু’দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা লিখিত ভাবেজানানাে হয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে। বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, ওই স্কুলটির চিঠি পেয়েছি। স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যােগাযােগ করে তাদের পরামর্শ মতাে চলার কথা বলা হয়েছে। 

কালনা সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক নিল ঘােষ বলেন, “কোভিড প্রােটোকল অনুযায়ী আপাতত সকলে আইসােলেশনে থাকাটাই কাম্য।" কয়েকজন শিক্ষক জানান, ঘটনার কথা জানার পর বাড়িতে আইসােলেশনে থাকছেন তাঁরা।

বিদ্যালয়ের এক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষ গত শনিবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদে হােয়াটঅ্যাপ গ্রুপে জানান, তাঁ কোভিডের রিপাের্ট পজিটিভ এসেছে শনিবারও বিদ্যালয়ে ছিলেন ওই শিক্ষক। খবর পেয়ে সােমবার নিজে উদ্যোগেই পূর্বস্থলী ব্লক স্বাস্থ্যকেতে কোভিড পরীক্ষা করান দ্বিতীয় শিক্ষক চলার কথা বলা হয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক। তাঁরও রিপোের্ট পজিটিভ আসে। সে কথা তিনিও ওই হােয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানান। এর পরেই আতঙ্কের পারদ চড়ে। জানা যায়, আরও চার জন শিক্ষক জ্বরে আক্রান্ত। ওই স্থায়ী শিক্ষকের স্ত্রী আবার পূর্বস্থলীরই একটি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এবং নানা সরকারি কাজকর্মের কারণে করােনায় আক্রান্ত এই শিক্ষকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হয় তাঁদের। তাই সকলেই ওই সহকর্মীর ‘ক্লোজ কন্ট্যাক্ট এসেছেন। 

শিক্ষক শিক্ষিকাদের বক্তব্য, ‘আমাদের অনেকেই ট্রেনে বাসে করে স্কুলে যাই। জীবাণু নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি, ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাসও করাচ্ছি। জানি না অজান্তে সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে গিয়েছে।' কালনার মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ বলেন, বিষয়টা খোঁজ নিয়ে জেনে সেই মতাে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

close