Kode Iklan atau kode lainnya

বাংলার আমলারা এখন অসহায়, মাননীয়া মিথ্যা কথা বলছেন: শুভেন্দু অধিকারী

 

নিউজ ডেস্ক: আলাপন বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকেন নি, বাংলার আমলারা এখন অসহায়। দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারীর।  একই সঙ্গে বললেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে মোদীর সঙ্গে দেখা করেও বৈঠকে গরহাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অনেকটা সময় অপেক্ষা করে আপনি আসার পরে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল-সহ সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাই। কিন্তু আপনি প্রধানমন্ত্রীকে কিছু নথি আর দাবিপত্র দিয়ে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন দিঘা যেতে হবে বলে। কোনও রাজ্যে কোথাও এমনটা হয় না। আপনার মুখ্যসচিব আপনাকে সঙ্গ দিয়েছেন। হয়তো বাধ্য হয়েই সঙ্গ দিয়েছেন। কথায় কথায় বাঙালি অবাঙালি করবেন না। ভোটের আগেও এটা করেছেন। এতে কাজ হবে না। আইএএস, আইপিএস অফিসাররা কোড অব কনডাক্ট জানেন। কিন্তু আপনি পালন করতে দেন না। এই অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আমলারা চলছেন।’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারকে অপমান করেছেন এর নিন্দার কোনও ভাষা নেই। উপকূলবর্তী এলাকার বিধায়ক হওয়ায় আমাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেটা কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়েছিলাম। তার পর আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছিল’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, 'অনুতাপের সঙ্গে দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব যেভাবে প্রধানমন্ত্রী, ভারত সরকারকে অপমান করেছেন, সেই নিন্দার ভাষা নেই। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে অনেক অসত্য কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁকে স্মরণ করাতে চাই, তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সংবিধান নাই মানতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও অপমান করেছেন। কোভিড নিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি। মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পা ধারার কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে হবে না। সংবিধান মেনে চলুন'। উনি পশ্চিমবঙ্গকে একটা দেশ ভাবছেন, আর সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। এই ভাবনা পাল্টাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ একটা রাজ্য। উনি সস্তার রাজনীতি করছেন'।

এরপরে তিনি বলেন, ‘বৈঠকের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল। এর পর বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজের শুক্রবারের সফরসূচি বদল করেছিলেন। সূচি অনুসারে শুক্রবার দুপুর ১.৫৫ মিনিটে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল। আর মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল ২.০৫ মিনিটে। নিজেই প্রধানমন্ত্রীর পরে সেখানে পৌঁছতে চান বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দিয়ে দেড় মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের কথা বলে মুখ্যসচিবকে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি’।

শেষে বাংলার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই বিরোধী দলনেতাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তাও অসত্য। ওড়িশার বিরোধী দলনেতা প্রদীন নায়েককেও ভুবনেশ্বরের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি উপস্থিত হননি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও বৈঠকে ডাকা হয়। তিনি দিল্লিতে থাকায় বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তীতে দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর ঘূর্ণিঝড় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা রিভিউ বৈঠকে আধঘন্টা দেরীতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাগর দ্বীপ থেকে কলাইকুন্ডা পৌঁছতে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমত ২০ মিনিট দেরী হয়। আর বাতাসের তাঁর হেলিকপ্টার আকাশেই কিছুক্ষণ চক্কর কাটছিল, সেই কারণে বৈঠকে পৌঁছতে কিছুটা দেরী হয়।’

close