Kode Iklan atau kode lainnya

দিতেই হবে বকেয়া ডিএ! ১৭ টি সংগঠনের আহ্বানে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গণ অবস্থান বিক্ষোভের ডাক

মহার্ঘ ভাতা

নিউজ ডেস্ক: ফের পথে নামছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ১৭ টি সংগঠনের আহ্বানে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ১ মার্চ শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটে গণ অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।  ন্যায্য মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালের রাজ্য বাজেটে ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বেড়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। তার আগে জানুয়ারি মাস থেকে চার শতাংশ হারে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।

চলতি বছরের মধ্যে দুবার মোট ৮ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি পেলেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাতে খুশি নন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে এখনো আন্দোলন জারি রেখেছেন কর্মচারীরা।

১৭টি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে,  আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেতনভুক্ত সর্বস্তরের কর্মচারী, আধিকারিক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পেনশন প্রাপকগণ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে এই মুহূর্তে আমরা কেন্দ্রীয় হারের চেয়ে ৩২% মহার্ঘভাতা (DA) কম পাচ্ছি। মহার্ঘ ভাতা কিন্তু বেতন বৃদ্ধি নয়, মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেতনের ক্ষয় পূরণের একটা চেষ্টা মাত্র। এক্ষেত্রে বকেয়া পাওনা দিতে রাজ্য সরকার টাল বাহানা করছে। তাই অবিলম্বে এ আই সি পি আই অনুসারে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডি এ) অবিলম্বে প্রদান এবং  আরো কয়েকটি  দাবিতে ১লা মার্চ, শুক্রবার কলকাতা কলেজ স্ট্রিট চত্বরে সারাদিনের অবস্থান সংগঠিত হচ্ছে।

সকলেই লক্ষ্য করছি সরকার মেলা খেলা সহ নানান অপ্রয়োজনীয়  খাতে এবং  দান-খয়রাতিতে বিরাট অর্থ ব্যয় করে চলেছে । উল্টোদিকে সরকারের সমস্ত প্রকল্প এবং বিস্তর কর্মকাণ্ড রাজ্য সরকারের কর্মচারী শিক্ষক-শিক্ষা কর্মী ডাক্তার নার্সরা এগিয়ে নিয়ে চলছেন এবং পরিকাঠামো ও লোকবলের  অভাব সত্বেও জনগণকে তারা সাধ‍্যমত পরিষেবা দিয়ে চলেছেন । এর আগে আমরা ১৭ টি সংগঠনের আহ্বানে ১০ জানুয়ারি মহাবোধি সোসাইটি হলে এই বিষয়ক সেমিনার সংগঠিত করেছি। উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শ্রী অশোক গাঙ্গুলী, আইনজীবী পার্থ সারথি সেনগুপ্ত প্রমূখ। পরবর্তীকালে ২৮ জানুয়ারি কলকাতার ভারত সভা হলে এক কনভেনশনে মিলিত হই আমরা। এরই ধারাবাহিকতায়  উল্লেখিত সংগঠনগুলির আহ্বানে প্রথম রাস্তার আন্দোলন কলেজ স্ট্রিটের অবস্থান হবে।

এই অবস্থানে রাজ্যের সমস্ত প্রান্ত থেকে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, ডাক্তার নার্স পেনশনারসগন উপস্থিত হবেন। এই আন্দোলনের সংহতি জানাতে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার, সমাজ কর্মী অধ্যাপক সুজাতা ভদ্র ও অন্যান্যরা। এই 17 টি সংগঠনের বাইরেও  অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংগঠন ১ মার্চ অবস্থানে এসে আমাদের এই যৌথ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

সংগঠনগুলো হল -

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)

কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ (INTUC) 

পশ্চিমবঙ্গ ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মচারী সমিতি 

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (BPTA)

ফোরাম অফ সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড টেকনোলজিস্টস (FOSET) 

সারা বাংলা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (SBSSS) 

প্রোগ্রেসিভ টিচার্স অ্যাসেসিয়েশন অফ বেঙ্গল (PTAB) পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারী ইউনিয়ন

ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন (CUEU)

পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (WBPTA) 

সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম (SDF)

নার্সেস ইউনিটি (NU) 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারী ইউনিয়ন (PSKU)

প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি (পঃবঃ) [P.S.K.S(P.B)] 

ফেডারেশন পশ্চিমবঙ্গ SGPF(WB)

স্টেট গভঃ পেনশনার্স এস্যোসিয়েসন 

আয়ুষ সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম

close