বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু |
নিউজ ডেস্ক: বাবার স্কুলে ছেলের চাকরির ঘটনায় উধাও হয়ে গেল গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। অভিযোগ, খোঁজ মেলেনি প্রায় তিন বছর ধরে বাবার স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা, সিআইডি-র হাতে ধৃত অনিমেষের সার্ভিস বুকেরও। মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা স্কুলের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে সিআইডির অভিযোগ, স্কুল ও ডিআই (স্কুল পরিদর্শক)-এর অফিস থেকে উধাও করে দেওয়া হয়েছে ওই চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল।
তদন্তকারীদের দাবি, এই বেনিয়ম যাতে কোনও ভাবেই জানাজানি না হয় তার জন্যই হাপিস করা হয়েছে ফাইল। অভিযোগ, খোঁজ মেলেনি প্রায় তিন বছর ধরে বাবার স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা, সিআইডি-র হাতে ধৃত অনিমেষের সার্ভিস বুকেরও।
গত ফেব্রুয়ারিতে আশিসকে সিআইডি গ্রেফতার করে। ১৪ জুলাই গ্রেফতার হন অনিমেষ। সিআইডি সূত্রের খবর, অনিমেষকে গ্রেফতার করে তাঁর বাড়ি, ডিআই অফিস ও স্কুলে তল্লাশি চালিয়ে ওই চাকরি সংক্রান্ত কোনও ফাইল উদ্ধার হয়নি।
তদন্তকারীদের দাবি, ‘প্রভাবশালী’ আশিস চার বছর জেলা পরিষদে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোনও রকম সুপারিশ ছাড়াই ছেলেকে চাকরিতে ঢুকিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে মদত দিয়েছিলেন স্কুলেরই একাধিক শিক্ষক।
তদন্তকারীর কথায়, ‘‘তদন্তে সার্ভিস বুক কিংবা চাকরি সংক্রান্ত ফাইল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এঁরা সে সব লোপাট করে, ধরা পড়ার পরে উল্টে এক জন মৃত বিডিওর নামে অভিযোগ করেছিল।’’ গোয়েন্দারা জানান, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেই বিডিওর কোনও ভূমিকা নেই ওই নিয়োগে।
অভিযোগ, অন্যের সুপারিশ পত্রের মেমো নম্বর জাল করে নিয়োগ পত্র তৈরি করা হয়। আর সেই নিয়োগপত্র দেখিয়েই বাবার স্কুলে যোগ দেন অনিমেষ তিওয়ারি। CID তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জোরকদমে চলছে তদন্ত। আশিস তিওয়ারি আগেই গ্রেফতার হয়েছেন, তবে ছেলে পালাতল ছিল। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি।