Kode Iklan atau kode lainnya

SSC: চাকরি ফেরানোর দাবি নিয়ে চিঠি সহ স্কুলে স্কুলে হাজির চাকরিহারারা, ধন্দে প্রধান শিক্ষকরা

অযোগ্য ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মী

নিউজ ডেস্ক: চাকরি চলে যাওয়ার পর অনেকেই, ভেঙে পড়েছিলেন! তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে হঠাৎ করেই তাঁদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় চাকরিহারারা সংশ্লিষ্ট স্কুলে গিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছেন। বীরভূম জেলাতেও একই ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে কি করা হবে, তা জানতে শনিবার দুপুরে জেলার বেশ কয়েক জন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) চন্দ্রশেখর জাউলিয়ার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেন। যদিও সেই আলোচনায় কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই জানা গেছে।

নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নবম-দশমের ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মার্চে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৮৪২ জনের সুপারিশপত্র ও চাকরি বাতিলেরও নির্দেশ দেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বহাল রাখে। চাকরিহারাদের অনেকেই চাকরি ফিরে পেতে শনিবার স্কুলে যোগাযোগ করেন বলে একাধিক স্কুল সূত্রে দাবি।

বিভিন্ন স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই চাকরি খোয়ানো নবম-দশমের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের অনেকেই স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। কেউ আবার কাজে যোগ দেওয়ার দাবিতে আইনজীবীদের চিঠি নিয়ে স্কুলেও হাজির হয়েছেন।  এই পরিস্থিতিতে ধন্দে পড়েছেন প্রধান শিক্ষকেরা।

প্রধান শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দিষ্ট নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁদের যোগ দেওয়ানোর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ নেই। ডিআই ও কিছু বলেননি। যেটুকু জেনেছি, নির্দেশ খারিজ নয়, স্থগিতাদেশ হয়েছে। ডিআই মারফত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি বিজ্ঞপ্তি স্কুলে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ‘কেপ্ট ইন অ্যাবেয়্যান্স’ অর্থাৎ স্থগিত রাখার কথাই বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে কাজে ফেরানো সম্ভব নয়।’’

close