নিউজ ডেস্ক: ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গেল। ৬৫০ শিক্ষকের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠল। কমিশনের বিরুদ্ধে নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ সামনে এল। ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে ভরা এজলাসে বৃহস্পতিবার বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়।
২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি-তে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয় এবং শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ফিলোজফি বিষয়ে ৬৫০ জনকে নিয়োগ করা হয়। সেই নিয়োগ নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠল। ওই পরীক্ষায় ২টি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
মামলাকারী চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, সঠিক উত্তর দেওয়ার পরেও নম্বর দেয়নি এসএসসি। পরে ওএমআর শিট প্রকাশ হতেই তাঁরা এই ভুলটি জানতে পারেন। তারপর উত্তরপত্রের জন্য আরটিআই করলে উত্তরপত্র দিতেই মামলাকারীরা জানতে পারেন, কমিশন উত্তর পাল্টে দিয়েছে। এরপরেই আদালতে মামলা করেন আরিফ শেখ নামে এক চাকরি প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার এই মামলাটি আদালতে ওঠে। শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী, আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত উত্তরপত্র এবং অপ্রকাশিত উত্তরপত্র তুলে ধরে বলেন, ‘এখানে প্রকাশিত উত্তরপত্রের দু’টি উত্তরই সঠিক কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন তার অপ্রকাশিত উত্তরপত্রে বেআইনিভাবে বদল করেছে সেগুলি।’ যদিও SSC-র পক্ষে আইনজীবী ডাক্তার সুতানু পাত্র এই বদল করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই তা করা হয়েছে।
বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চায় যে তারা কার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’টি প্রশ্নের উত্তরের পরিবর্তন করেছে? কোন বিশেষজ্ঞ কমিটি উত্তর দু’টি ভুল বলে রিপোর্ট দিয়েছে? যদিও সে প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি কমিশনের পক্ষের আইনজীবী।
তারপরই এদিন বিচারপতি নির্দেশ দেন, এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে কমিশনকে। কাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এমন বদল করা হল, কাদের নির্দেশে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে সেই উত্তরপত্র পাঠানো হল এবং বিশেষজ্ঞ কমিটি ঠিক কী রিপোর্ট দিয়েছিল তা আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা আকারে জানাতে হবে।