Kode Iklan atau kode lainnya

প্রাথমিক শিক্ষকদের ইন্টারভিউ কারা নিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ মত বিস্তারিত তথ্য চাইল পর্ষদ

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একেরপর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। দুর্নীতি কাণ্ডে জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এবার ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষকদের ইন্টারভিউ কারা নিয়েছিলেন, তা জানতে চাইল পর্ষদ। এই নিয়ে নোটিশও করা হল রাজ্যের সমস্ত জেলা DI-কে।

২০১৬ সালে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ কোথায় কারা কারা নিয়েছিলেন? এবারে সে তথ্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির কাছে চেয়ে পাঠাল পর্ষদ। পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ইতিমধ্যে। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ২০১৬ সালের ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা ব্যক্তিদের ফোন নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ আসছে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে।  যদিও অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর দেওয়া হয়েছে। এবার এই নিয়ে রাজ্যের সমস্ত ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি কাউন্সিলকে নোটিশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নাম চাইল পর্ষদ। ইন্টারভিউ এক্সপার্টদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার সহ বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ এর মধ্যেই সমস্ত  এক্সপার্টদের তথ্য জমা করতে হবে। 

২০১৬ সালের নিয়োগ আর ২০২১ সালের নিয়োগের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। ২০২১ সালে ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে সাড়ে ১৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের ইন্টারভিউ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই। অথচ ২০১৬ সালে দেখা গিয়েছিল একেবারেই ভিন্ন চিত্র। ২০১৬ সালের ইন্টারভিউ ছিল জেলাভিত্তিক। এই ইন্টারভিউ আয়োজিত হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির অফিসে-ই।

২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ১৯জন মামলাকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা সকলেই জানিয়েছেন, ইন্টারভিউ হলেও তাঁদের কোনও অ্যাপটিটিউড  টেস্ট হয়নি। তাই বিচারপতির নির্দেশ, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নাম ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মুখবন্ধ খামে জমা দিতে হবে পর্ষদকে। ‘অ্যাপটিটিউড টেস্ট’ বলতে কী বোঝায়, তা নিয়েও পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

close