Kode Iklan atau kode lainnya

ব্রেকিং: প্রাথমিকে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করল রাজ্য! শূন্য পদের তালিকা চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

প্রাথমিকে বড় সংখ্যায় শিক্ষক নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করল রাজ্য! শূন্য পদের তালিকা চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

নিউজ ডেস্ক: এবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৎপর হল রাজ্য! স্কুলগুলিতে শূন্যপদের সংখ্যা জানতে চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠিতে তৎপর স্কুলশিক্ষা দফতর। দ্রুত তালিকা পাঠাতে নির্দেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আরও ৮৯ হাজার স্কুল শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার৷ সেই নিরীখে তৎপরতা শুরু করছে শিক্ষা দফতর।

এই মুহূর্তে রাজ্যে কত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ রয়েছে, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের থেকে জানতে চাইল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠি পেয়ে তৎপর রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রতিটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিদর্শকদের শূন্য পদের তালিকা দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। এই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে প্রাথমিকের শূন্যপদ সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি রয়েছে। সেই সংখ্যা দ্বিগুন থেকে তিনগুন বাড়তে পারে বলেই মত স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। 

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অন্তর্বর্তী কমিটির বৈঠক রয়েছে। তার আগেই এই তথ্য পেতে মরিয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন৷ শূন্য পদের নির্দিষ্ট তালিকা হাতে পেলেই দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে পর্ষদ৷

এই মুহূর্তের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জর্জরিত রাজ্য সরকার। আদালত পরপর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে নতুন নিয়োগই। পুজোর পরেই হতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। দু’দিন আগেই সমস্ত জেলা থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বিস্তারিত হিসেব। 

পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালও বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুতিটা সেরে রাখতে চাইছি।’ টেটের দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য এখনও হয়নি। তবে সূত্রের খবর, পুজোর পরেই তা নেওয়া হবে। বিকাশ ভবনের হিসেব অনুযায়ী শূন্যপদের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ২৫ হাজারের কাছাকাছি। 

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুজোর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করা হবে। এছাড়া প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা এবং নিয়োগ চলবে। পরবর্তী সময়ে এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনি পট পরিবর্তন হয়েছে। ফলে পিছিয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। এবার কোমর বেঁধে নামতে চাইছে রাজ্য সরকার। 

২০১৭ সালে বিজ্ঞাপিত টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। সেই নিয়োগ এখনও বাকি রয়েছে। সেই প্রক্রিয়ার জট কাটানোর পাশাপাশি নতুন করে টেট নিয়ে রাখতে চাইছে সরকার। শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নবগঠিত অ্যাড হক কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে বলে খবর।

close