Kode Iklan atau kode lainnya

ওএমআর শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে, টেটে নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, তদন্তের বাইরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে চাকরি নিয়ে লক্ষ লক্ষ  টাকার খেলা হয়েছে। বাগদা চন্দন মন্ডলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে CBI তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরই মধ্যে একটি নতুন তথ্য হাইকোর্টে জানালো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ জানায়, টেট প্রশ্ন ভুল ছিল ১ টি। তাই প্রশ্ন ভুল অ্যাটেম্পে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬৯ জনকে ১ নম্বর দিয়ে টেট উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। এতেই টেটে কারচুপির জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। 

প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সৌমেন নন্দী মামলা করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ২টি। টেট তার মার্কস জানাক পর্ষদ আর দুই, টেট ফেল করে, সাদা খাতা জমা দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছে  অনেকে।

মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, হুগলির ৬৮ জন টেট ফেল করে চাকরি পেয়েছে বলে একটি তালিকা আদালতে দেই। আরও একটি তালিকা দিয়ে জানাই, ১৮ জন টেট ফেল অথচ অনেকেই চাকরি পেয়েছে। পাপিয়া মুখার্জি সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আমাদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তার সোশ্যাল পোস্ট কে সামনে আনি।

যদিও, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, নতুন করে মামলায় আনা এমন অভিযোগের ভিত্তি নেই। তবে ২০১৭ সালে বোর্ডের সিদ্ধান্তে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৬৯ জন টেট পাশ করেন,প্রশ্ন ভুলের ১ নম্বর পেয়ে। এদের মধ্যে কেউ চাকরি পেয়েছে জানা নেই। ১৮ জনের টেট ফেলের তালিকা নিয়ে কিছু জানা নেই। পাপিয়া মুখার্জি সাদা খাতা নিয়ে বোর্ডের কাছে তেমন তথ্য নেই। ওএমআর শিট হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে তবে সফট কপি আছে। 

সওয়ালে রাজ্যের আইনজীবী জয়দীপ কর দাবি করেন,২০১৭ সালের ঘটনা। সেই অভিযোগের বিচার ৫ বছর পর ২০২২ হতে পারেনা। 

অন্যদিকে সিনিয়র আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন,  তার ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হয়। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করেও উত্তর মেলেনি।

এই নিয়ে মামলাকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আরও জানান, প্রাথমিক টেটে ১ প্রশ্ন ভুল ছিলো। ভুল প্রশ্নে ১ নম্বর দিয়ে  প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৬৯ জনকে টেট উত্তীর্ণ করা এই তথ্য প্রথম জানলাম। আগামীতে সিবিআই তদন্ত হলে প্রাথমিকের আরও তথ্য সামনে আসবে বলে অনুমান করি।

দুই পক্ষের আইনজীবী কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা উপেন বিশ্বাসের ফেসবুকে তোলা অভিযোগের ওপর সিবিআই তদন্ত করবে। তদন্তের প্রয়োজনে সিবিআই ২ জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনে অন্য কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই, হাইকোর্টে। আপাতত তদন্তের বাইরে রাখা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। 

close