Kode Iklan atau kode lainnya

কলেজের সহকারী অধ্যাপকের ইন্টারভিউ তালিকাতে অঙ্কিতা অধিকারী! অভিযোগ ওড়ালেন চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে স্কুলের চাকরি হারিয়েছেন। এরই মধ্যে ফের খবরে অঙ্কিতা অধিকারী। এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একটি পোস্ট। স্কুলের চাকরি হারানোর পরে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যাকে অঙ্কিতাকে কলেজ অধ্যাপকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের পলিটিক্যাল সায়েন্সের ইন্টারভিউ তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নাম দেখে এই অভিযোগে সোচ্চার বিভিন্ন মহল।

এসবের মধ্যে অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করল কলেজ সার্ভিস কমিশন। কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপককুমার করও জানান, তালিকায় নাম থাকা অঙ্কিতা মন্ত্রী কন্যাই কি না, তা তিনি জানেন না। তিনি ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন কি না, সেটাও এদিন জানানো সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে।

স্কুলের শিক্ষিকা পদে চাকরি হারালেও তিনি কী এবার কলেজে শিক্ষকতা করতে চলেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ছবিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউ তালিকায় নাম রয়েছে অঙ্কিতা অধিকারীর৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চাকরি প্রার্থী হিসাবেই ইন্টারভিউ তালিকায় আছেন তিনি।

ইন্টারভিউ ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে অঙ্কিতার। রোল নাম্বার ২০১০৩৩১০, অঙ্কিতা অধিকারী নামে একজন ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছিলেন। তবে এই অঙ্কিতা অধিকারী যে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে, সেটা নিয়ে এখনও রহস্যের সমাধান হয়নি। এমনকি মুখ খোলেননি কেউই। গত ২৬ এপ্রিল তাঁকে ডাকা হয়েছিল ইন্টারভিউতে।

চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তালিকাটিতে দেখা যাচ্ছে, ওই প্রার্থীকে  (রেজিস্ট্রেশন নম্বর-২০১০৩৩১০) ২৬ এপ্রিল ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। আর সেই তালিকা প্রকাশিত হয় ১১ এপ্রিল। অন্যদিকে, অঙ্কিতাদেবীর চাকরি বাতিল সংক্রান্ত অর্ডার হয়েছে গত সপ্তাহে। তাহলে এটা বলা যেতে পারে না, স্কুলের চাকরি গিয়েছে বলে তাঁকে কলেজে চাকরির ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছে। কারণ আবেদন বা ইন্টারভিউয়ে তালিকা প্রকাশের বিষয়টি ছেড়ে দিলেও, তাঁর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াই হয়ে গিয়েছে আদালতের রায় দানের বহু আগে।

দীপকবাবুর দাবি, কোনও প্রার্থী নেট, সেট উত্তীর্ণ হলে বা পিএইচডি থাকলে সেই আবেদনের ভিত্তিতে তিনি ইন্টারভিউয়ে ডাক পাবেন। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নামের আদ্যাক্ষরের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করে বিশেষ সফটওয়্যার। এই প্রার্থী মন্ত্রী কন্যা হলেও তাঁর নাম তালিকায় সেভাবেই এসেছে। ইন্টারভিউয়ে প্রার্থীর আসল মার্কশিট এবং অন্যান্য শংসাপত্র যাচাই করা হয়। চাকরি পাওয়ার সময় হয় পুলিস ভেরিফিকেশন। আর যদি ইচ্ছাকৃত কাউকে ইন্টারভিউয়ে বেশি নম্বর দিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়? 

চেয়ারম্যান বলেন, সেটার সম্ভাবনাও প্রায় নেই। কারণ, ছ’জনের ইন্টারভিউ প্যানেল থাকে। তাঁদের দেওয়া নম্বর গড় করে তা গ্রাহ্য করা হয়। তাছাড়া, ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মাধ্যমিক থেকে শুরু করে নেট/সেট বা পিএইচডি পর্যন্ত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মার্কস যোগ হয়। এর জন্য থাকে ৫০ নম্বর। এর পরে থাকে গবেষণাপত্র প্রকাশ, তার সংখ্যা, পড়ানোর অভিজ্ঞতা এবং ডেমো টিচিং সেশনের উপরে নম্বর থাকে। এর সঙ্গে থাকে ইন্টারভিউ। এতকিছুতে দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, প্রতিটি পদের জন্য কড়া প্রতিযোগিতা থাকে। সবার নজরও থাকে। তাই একজনকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। নিন্দুকেরা অবশ্য দাবি করছেন, ‘ইচ্ছে’ থাকলে সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি করা সম্ভব। ২০১৮ সালের সহকারী নিয়োগেও প্রবল দুর্নীতি হয়েছে।

অভিযোগ ওঠে ইন্টারভিউ না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন অঙ্কিতা। মামলাকারী এক চাকরি প্রার্থীর থেকে কম নম্বর থাকলেও অন্যায় ভাবে মেধাতালিকায় ঢুকিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী কন্যাকে। এরপর আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় অঙ্কিতার। এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউ তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নাম দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। 


close