Kode Iklan atau kode lainnya

শিক্ষক সংকট: স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক নেই, ক্লাস নিচ্ছেন গ্রুপ-ডি কর্মীরা

নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়া আছে কিন্তু শিক্ষক নেই! রাজ্যে দীর্ঘদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ফলে অনেক স্কুলেই শিক্ষক সংকট দেখা দিচ্ছে।

পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছেন গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীরা। কারণ প্রায় সাড়ে তিনশো পড়ুয়ার জন্য স্কুলে নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক। উৎসস্রী প্রকল্পে দুই স্থায়ী শিক্ষকের বদলির জেরে এভাবেই চলছে মুরারই-১ ব্লকের তিয়রপাড়া রাধারানি হাইস্কুল। সরকারি স্কুলে এভাবে পঠনপাঠন চলায় সন্তানাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।  

জানা গিয়েছে, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে ওই স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৪২ জন। যদিও নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক। মাস তিনেক আগে পর্যন্ত এই স্কুলে একজন স্থায়ী শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা ছিলেন। মার্চ মাসে উৎসস্রী প্রকল্পে এক মাত্র শিক্ষিকা বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলি নিয়ে চলে যান। ১৬ এপ্রিল একই প্রকল্পে আবেদনের ভিত্তিতে বাড়ির কাছে স্কুলে বদলি হন শিক্ষকও। তারপর পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়ার জন্য ভরসা গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কমী ও এক পার্শ্ব-শিক্ষক। এর পাশাপাশি মিড-ডে মিল থেকে অফিসিয়াল কাজকর্ম সবহ সামলাতে হচ্ছে তাঁদের। 

অভিভাবকদের অভিযোগ, যে স্কুলে শিক্ষক নেই, সেখানে পড়াশোনা কেমন হবে তা সকলের জানা। শিক্ষকের অভাবে স্কুলটি ধুঁকছে। অথচ শিক্ষাদপ্তরের কোনও হেলদোল নেই। এভাবে পঠনপাঠন চলতে থাকলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার! 

বর্তমানে স্কুলের প্রশাসক হিসেবে রয়েছেন ব্লকের এসআই সেলিম দফাদার। তিনি বলেন, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনজন শিক্ষক এই স্কুলে আসতে চেয়োছেন। তাঁদের প্রশাসনিক বদলি করে এই স্কুলে পাঠানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তারমধ্যে গত মঙ্গলবার একজন যোগ দেবেন বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। ২মে থেকে স্কুলে গ্রামের ছুটি পড়ছে। এবমধো স্কুল বাঁচাতে কিছু একটা ব্যবস্থ করতে হবে। কিন্তু যেভাবে উৎসস্রী প্রকল্পে বদলির আবেদন জমা পড়েছে, তাতে সমস্যা বাড়বে।

close