নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আদালতের কড়া প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্যানেলে নাম নেই, অথচ চাকরি হল কীভাবে? জানতে চায় আদালত। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন আদালত মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্বেও নবম-দশম শ্রেণির বাংলার শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাওয়া পূর্ব মেদিনীপুরের জুই দাস ও মালদহের আজাদ আলি মিজার নাম মেধাতালিকায় ছিল কি না, সেই জবাব চান তাঁদের আইনজীবীর কাছে। মেধা তালিকায় নাম ছিল না বলে তিনি জানান। তখন বিস্মিত আদালত জানান, তাঁদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে জানাতে হবে, কী ভাবে চাকরি পেলেন।
জুঁই দাসের তরফে আইনজীবী সুবীর সান্যাল এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চে জানান, তাঁকে এই ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী বৃহস্পতিবার হলফনামা দিয়ে তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।
একইভাবে মেধাতালিকার নীচের দিকে থাকা শেখ ইনসান আলি কী করে অন্যদের টপকে দু'বার এসএসসির থেকে শিক্ষক হিসেবে নিয়ােগের সুপারিশপত্র পেলেন, সেই প্রশ্নও তােলে আদালত। তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল কোনও বেআইনি পথে চাকরি পাননি। কিন্তু কীভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা তিনি জানেন না। তিনি মেনে নেন, চাকরির আগে যে কাউন্সেলিং হয়, তা-ও তাঁর হয়নি।