Kode Iklan atau kode lainnya

শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে ‘যোগ্য-অযোগ্যদের’ উদ্দেশে মাধ্যমিকের প্রথম চন্দ্রচূড়ের বার্তা আপনার মন ছুঁয়ে যাবে…

রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন

মাধ্যমিকের ফল: প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র চন্দ্রচূড় সেন এবারের মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে।  ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে চন্দ্রচূড়। মা বরাবরই ঘর সামলেছেন।  এবারে মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিন পর ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষক বিতর্ক তুঙ্গে। নিয়োগ দুর্নীতি ও অযোগ্য শিক্ষক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চন্দ্রচূড় বলে, “আইন তো সবার জন্যই সমান। শিক্ষকদের যোগ্যতা বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে এক্ষেত্রে দেশের ভাবী নাগরিক হিসাবে যেটুকু আমি বলতে পারি, যাঁরা অসৎ উপায়ে শিক্ষক হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য যাঁরা নিষ্ঠার মাধ্যমে পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর প্রভাব পড়ছে। যদি এই বিষয়টা পুর্নমূল্যায়ন করা হয়, দেখা হয়, যাঁরা বৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের কীভাবে পুনরায় চাকরি করার সুযোগ করে দেওয়া যায়। কারণ সংসারের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা তাঁদের ওপর রয়েছে।”

দেওয়ালের একটা জায়গায় লেখা রয়েছে, ‘ইউ আর এ মাধ্যমিক স্টুডেন্ট, মাইন্ড ইট…’ কেন এটা লেখা হয়েছে? চন্দ্রচূড়কে বলে, “সেলফ মোটিভেশনের জন্য। দিনরাত পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ক্লান্তি চলে আসে। মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই ধরনের লেখা লিখে একটা সেল্ফ মোটিভেশন পেতাম।”

মোবাইল থেকে দূরেই থাকে চন্দ্রচূড়। তবে ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ে মোবাইলের প্রতি কিছুটা আসক্তি বেড়েছিল চন্দ্রচূড়ের। নিজেই সেকথা জানায়। ইউটউবে ‘ইনফরমেটিভ ভিডিয়ো’ই দেখত সে। কিন্তু তাতে পড়াশোনার সময় নষ্ট হচ্ছিল। তাই আজও চন্দ্রচূড়ের বাথরুমের দরজার পাশে লেখা, ‘ইউ হ্যাভ বুক, সো হোয়াই মোবাইল?’

close